সুচিত্রা ক্ষমা চাইলেন, প্রত্যক্ষদর্শী ডাক্তার বললেন, ‘মহানায়িকার বৃদ্ধ বয়েসটা…’

Suchitra Sen: মেয়ে মুনমুন সেন, নাতনিরা, জামাই এবং কাছের আত্মীয়, সহকারীরা ছাড়া বৃদ্ধ সুচিত্রা সেনকে কেউ দেখেননি কোনওদিনই। এক তরুণী চিকিৎসক তাঁকে দেখেছিলেন সামনাসামনি। রুটিন চেকআপ করতে সোজা গিয়েছিলেন মহানায়িকার বাড়িতেই। সেখানে গিয়ে মহানায়িকাকে যেভাবে দেখেছিলেন, বর্ণনা দিয়েছিলেন...

| Updated on: May 06, 2024 | 3:54 PM
কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীনই চিরকালের মতো অন্তরালে চলে গিয়েঠিলেন টলিউডের মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। ফলে তাঁর বৃদ্ধা বয়সের চেহারা দেখেননি আপামর বাঙালি দর্শক। সুচিত্রা এখনও স্বর্ণালি যুগের সেই অধরা সুন্দরী, যাঁর বয়স বাড়েনি দর্শকের নজরে।

কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীনই চিরকালের মতো অন্তরালে চলে গিয়েঠিলেন টলিউডের মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। ফলে তাঁর বৃদ্ধা বয়সের চেহারা দেখেননি আপামর বাঙালি দর্শক। সুচিত্রা এখনও স্বর্ণালি যুগের সেই অধরা সুন্দরী, যাঁর বয়স বাড়েনি দর্শকের নজরে।

1 / 8
সেই সুচিত্রাকে একবার সাক্ষাৎ দেখে ফেলেন কলকাতার এক অল্প বয়সি ডাক্তার। বৃদ্ধা মহানায়িকাকে সামনাসামনি দেখে কী ছিল তাঁর প্রতিক্রিয়া জানেন?

সেই সুচিত্রাকে একবার সাক্ষাৎ দেখে ফেলেন কলকাতার এক অল্প বয়সি ডাক্তার। বৃদ্ধা মহানায়িকাকে সামনাসামনি দেখে কী ছিল তাঁর প্রতিক্রিয়া জানেন?

2 / 8
‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে মিসেস সেন সম্পর্কে বেশ কিছু কথা বলেছিলেন সেই মহিলা চিকিৎসক। যে সময়কার ঘটনা, সেই সময় তিনি মধ্য কলকাতার এক নার্সিং হোমের চিকিৎসক ছিলেন তিনি। ডাক্তারির অভিজ্ঞতা ছিল মোটে পাঁচ বছর। একবার তাঁর কাছে সুযোগ আসে সুচিত্রা সেনের চিকিৎসা করার।

‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে মিসেস সেন সম্পর্কে বেশ কিছু কথা বলেছিলেন সেই মহিলা চিকিৎসক। যে সময়কার ঘটনা, সেই সময় তিনি মধ্য কলকাতার এক নার্সিং হোমের চিকিৎসক ছিলেন তিনি। ডাক্তারির অভিজ্ঞতা ছিল মোটে পাঁচ বছর। একবার তাঁর কাছে সুযোগ আসে সুচিত্রা সেনের চিকিৎসা করার।

3 / 8
নার্সিংহোমের এক সিনিয়র চিকিৎসকই তরুণী ডাক্তার জাহেদি বানোকে পাঠিয়েছিলেন সুচিত্রা সেনের বাড়িতে। জাহেদি ছুট্টে গিয়েছিলেন মহানায়িকার বাড়িতে। নিজের মধ্যে উত্তেজনার পারদকে ধরে রাখতে পারছিলেন না তিনি। বারবার হাত কাঁপছিল তাঁর। অন্তরালে থাকা মিসেস সেনকে সামনে থেকে দেখার উত্তেজনা ছিল প্রবল। যে উত্তেজনা আজও আছে হাজার-হাজার আমজনতার মনে।

নার্সিংহোমের এক সিনিয়র চিকিৎসকই তরুণী ডাক্তার জাহেদি বানোকে পাঠিয়েছিলেন সুচিত্রা সেনের বাড়িতে। জাহেদি ছুট্টে গিয়েছিলেন মহানায়িকার বাড়িতে। নিজের মধ্যে উত্তেজনার পারদকে ধরে রাখতে পারছিলেন না তিনি। বারবার হাত কাঁপছিল তাঁর। অন্তরালে থাকা মিসেস সেনকে সামনে থেকে দেখার উত্তেজনা ছিল প্রবল। যে উত্তেজনা আজও আছে হাজার-হাজার আমজনতার মনে।

4 / 8
সেদিন সুচিত্রা সেনের বাড়িতে দরজা খুলেছিলেন মহানায়িকার বাড়ির এক বিশ্বস্ত সহকারী। তিনি জাহেদিকে নিয়ে আসেন ভিতরে। তারপর সোজা পাঠিয়ে দেন সুচিত্রার বেডরুমে।

সেদিন সুচিত্রা সেনের বাড়িতে দরজা খুলেছিলেন মহানায়িকার বাড়ির এক বিশ্বস্ত সহকারী। তিনি জাহেদিকে নিয়ে আসেন ভিতরে। তারপর সোজা পাঠিয়ে দেন সুচিত্রার বেডরুমে।

5 / 8
যে সুচিত্রা দুনিয়াবাসীর জন্য বন্ধ করেছিলেন তাঁর দরজা, সেই সুচিত্রাই জাহেদিকে ডেকেছিলেন তাঁর বেডরুমে। এই সৌভাগ্য কতজন পেয়েছেন? জাহেদি বলেন, তিনটে ঘর টপকে ছিল সুচিত্রার অন্দরমহল। ঠিক ছায়াছবির মতো। তাঁকে দেখেই আবির্ভূত হলেন মহানায়িকা। জাহেদিকে আয়নার সামনে বসার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর সরল কণ্ঠে প্রশ্ন ছোঁড়েন, “কী করতে হবে আমাকে?”

যে সুচিত্রা দুনিয়াবাসীর জন্য বন্ধ করেছিলেন তাঁর দরজা, সেই সুচিত্রাই জাহেদিকে ডেকেছিলেন তাঁর বেডরুমে। এই সৌভাগ্য কতজন পেয়েছেন? জাহেদি বলেন, তিনটে ঘর টপকে ছিল সুচিত্রার অন্দরমহল। ঠিক ছায়াছবির মতো। তাঁকে দেখেই আবির্ভূত হলেন মহানায়িকা। জাহেদিকে আয়নার সামনে বসার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর সরল কণ্ঠে প্রশ্ন ছোঁড়েন, “কী করতে হবে আমাকে?”

6 / 8
জাহেদির কণ্ঠরূদ্ধ। আমতা-আমতা করে বলেছিলেন, “একটু উঠে দাঁড়াতে হবে ম্যাডাম”। জাহেদির সংযোজন, “আমার ধারণা ছিল পরিচালকদের নির্দেশেই তিনি হেলে দাঁড়াতেন। কিন্তু না সেটা তাঁর সহজাত দাঁড়ানো। আমার সামনেও ওরকম হেলেই দাঁড়ালেন। আমি তাঁর রুটিন চেকআপ করে বেরিয়ে আসি।"

জাহেদির কণ্ঠরূদ্ধ। আমতা-আমতা করে বলেছিলেন, “একটু উঠে দাঁড়াতে হবে ম্যাডাম”। জাহেদির সংযোজন, “আমার ধারণা ছিল পরিচালকদের নির্দেশেই তিনি হেলে দাঁড়াতেন। কিন্তু না সেটা তাঁর সহজাত দাঁড়ানো। আমার সামনেও ওরকম হেলেই দাঁড়ালেন। আমি তাঁর রুটিন চেকআপ করে বেরিয়ে আসি।"

7 / 8
মহানায়িকার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পর জাহেদিকে আবারও ডাকা হয়। ভয়ে-ভয়ে গিয়ে দেখেন হলঘরে সুচিত্রা হাত জোর করে দাঁড়িয়ে বলছেন, “আমাকে প্লিজ় ক্ষমা করবেন আপনি… এই নিন আপনার ফিজ়…। একদম ভুলে গিয়েছি”।

মহানায়িকার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পর জাহেদিকে আবারও ডাকা হয়। ভয়ে-ভয়ে গিয়ে দেখেন হলঘরে সুচিত্রা হাত জোর করে দাঁড়িয়ে বলছেন, “আমাকে প্লিজ় ক্ষমা করবেন আপনি… এই নিন আপনার ফিজ়…। একদম ভুলে গিয়েছি”।

8 / 8
Follow Us: