AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ambubachi 2022: আর মাত্র কয়েকদিন, অম্বুবাচী ব্রত চলাকালীন ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না

Astrology: মনে করা হয়, আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের চতুর্থ পদে ঋতুমতী হন ধরিত্রী। পূর্ণ বয়স্কা ঋতুমতী নারীরাই কেবল সন্তান ধারণে সক্ষম হন।

Ambubachi 2022: আর মাত্র কয়েকদিন, অম্বুবাচী ব্রত চলাকালীন ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2022 | 12:46 PM
Share

আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। চলতি মাসের ২২ তারিখে সোমবার (Monday) শুরু হবে হিন্দুদের কাছে এক পবিত্র দিবস হিসেবে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পদ শেষ হলে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুমতী হন। এই সময়টিতে অম্বুবাচী পালন করা হয়। এই সময় কৃষিকাজ বন্ধ রাখা হয়। এই তিন দিন কোনও মাঙ্গলিক কাজ করা হয় না। হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে এইসময়।

প্রতিটি ব্রত বা পূজার ক্ষেত্রেই কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। ঠিক সেরকমই অম্বুবাচীরও কিছু নিয়ম আছে। হিন্দুশাস্ত্র মতে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যেগুলি অম্বুবাচীতে করা উচিত এবং কিছু কাজ যেগুলি করা উচিত নয়। এই তিনদিন কামাখ্যা মন্দির বন্ধ থাকবে। কোনও রকম পুজো হবে না মন্দিরে। ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবেন না মন্দিরে। গোটা দেশেই এই নিয়ম মানা হয়। বলা হয়ে থাকে এই সময় দেবী ঋতুমতি হন। তাই এই সময় নিভৃতে রাখা হয় তাঁকে।

মনে করা হয়, আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের চতুর্থ পদে ঋতুমতী হন ধরিত্রী। পূর্ণ বয়স্কা ঋতুমতী নারীরাই কেবল সন্তান ধারণে সক্ষম হন। তাই অম্বুবাচীর পর ধরিত্র। পূর্ণ বয়স্কা ঋতুমতী নারীরাই কেবল সন্তান ধারণে সক্ষম হন। শুধু কামাখ্যা নয়, অম্বুবাচী চলাকালীন বিভিন্ন মন্দির ও বাড়ির ঠাকুর ঘরের মাতৃ শক্তি যেমন কালী, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, বিপত্তারিণী, শীতলা, চণ্ডীর প্রতিমা নেই বললেই চলে।

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পদ শেষ হলে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুমতী হন। এই সময়টিতে অম্বুবাচী পালন করা হয় প্রতিটি ব্রত বা পূজার ক্ষেত্রেই কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। ঠিক সেরকমই অম্বুবাচীরও কিছু নিয়ম আছে। হিন্দুশাস্ত্র মতে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যেগুলি অম্বুবাচীতে করা উচিত এবং কিছু কাজ যেগুলি করা উচিত নয়।

ক) কালী, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, বিপত্তারিণী, শীতলা ও চণ্ডীর মূর্তি বা পট লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়।

খ) এইসময় তুলসি গাছের গোড়া মাটি দিয়ে উঁচু করুন। যাঁরা শাক্তমন্ত্রে দীক্ষিত, তাঁরা মন্ত্র পাঠও করতে পারবেন।

গ) অম্বুবাচীতে গুরুপুজো করা যায়। এই সময় গুরু প্রদত্ত মন্ত্রও জপ করতে পারবেন।

ঘ) অম্বুবাচীর পর দেবীর আচ্ছাদন খুলে আসন ধুয়ে দিন। তারপর দেবীমূর্তি ভাল করে স্নান করিয়ে পুজো করুন। দেবীকে আম-দুধ নিবেদন করতে পারেন।

ঙ) যদি এই সময় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা পড়ে, তবে তা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই হতে পারে। কারণ এই সময়ে নিত্যকর্ম হবে, কাম্য কর্ম হবে না। রথযাত্রা নিত্যকর্ম।

এই তিনদিন কামাখ্যা মন্দির বন্ধ থাকবে। কোনও রকম পুজো হবে না মন্দিরে। ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবেন না মন্দিরে। গোটা দেশেই এই নিয়ম মানা হয়। বলা হয়ে থাকে এই সময় দেবী ঋতুমতি হন। তাই এই সময় নিভৃতে রাখা হয় তাঁকে।