Bajrangbali: কলিযুগে আজও এই ৩ জায়গায় বাস করেন হনুমানজী! পাওয়া গিয়েছে প্রমাণও
Bajrangbali: হনুমানজীকে শাস্ত্রে জাগ্রত দেবতা বলেও মনে করা হয়। শাস্ত্রজ্ঞরা বলেন যাঁর মন পরিষ্কার, পাপ যাকে ছুঁতে পারেনি, সে যদি সত্যি মনে বজরংবলীকে স্মরণ করেন, তাঁকে আহ্বান করেন তাহলে হনুমানের দেখা পাওয়া যায়।

শাস্ত্র বলছে তিনি স্বয়ং ত্রিকালদর্শী মহাদেবের অংশ। যুগে যুগে তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। রামায়ণ অনুসারে শ্রীরামের কাছ থেকে অমরত্বের বর লাভ করেছিলেন হনুমান। তাই এই কলিযুগে বেঁচে রয়েছেন তিনি। বজরংবলি যাঁর সহায় তাঁকে মারে কার সাধ্য! মহাভারতেও অর্জুনের রথে পতাকার রূপে বিরাজমান ছিলেন বজরংবলি। তাই তাকে কোনও দিন কেউ ছুঁতে পারত না। এমনই পরাক্রমী হনুমান।
হনুমানজীকে শাস্ত্রে জাগ্রত দেবতা বলেও মনে করা হয়। শাস্ত্রজ্ঞরা বলেন যাঁর মন পরিষ্কার, পাপ যাকে ছুঁতে পারেনি, সে যদি সত্যি মনে বজরংবলীকে স্মরণ করেন, তাঁকে আহ্বান করেন তাহলে হনুমানের দেখা পাওয়া যায়।
প্রচলিত বিশ্বাস ও শাস্ত্র কথা অনুসারে অমর বজরংবলীর দর্শন পাওয়া যায় আজও। তবে সর্বত্র নয়, তাঁর বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানেই। রামায়ণের রচয়িতা তুলসীদাস বলেছেন কলিযুগে দর্শন পাওয়া যাবে হনুমানজীর। এই ঘোর কলিযুগে কোথায় কোথায় থাকেন রামভক্ত হনুমান?
গন্ধমাদন পর্বত – কলিযুগে গন্ধমাদন পর্বতেই নাকি বাস বজরংবলীর। বিভিন্ন সময় তার প্রমাণও নাকি পাওয়া গিয়েছে। গন্ধমাদন পর্বতে তপস্যা করতে গিয়ে অনেক সাধু সন্ন্যাসী হনুমান জি-র দর্শন পেয়েছেন বলে কথিত। কৈলাস পর্বতের উত্তরে অবস্থিত গন্ধমাদনে সাধনা করেছিলেন কাশ্যপ মুনি। রামের কাছ থেকে অমরত্বের বর লাভ করে গন্ধমাদন পর্বতকেই নিজের বাসভূমি হিসেবে বেছে নেন হনুমান।
কিষ্কিন্ধ্যা পর্বত – রামায়ণে কিষ্কিন্ধ্যা পর্বতের উল্লেখ পাওয়া যায়। হনুমানের মা অঞ্জনি কর্নাটকের বেল্লারি জেলার কোপ্পালের কাছে অবস্থিত কিষ্কিন্ধ্যা পর্বতে তপস্যা করেছিলেন। এই পাহাড়েই রামের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাত্ হয় হনুমানের। এখানেও ঘুরে বেড়ান তিনি।
রামায়ণ – কথিত যেখানেই রামায়ণের পাঠ হয়, সেখানেই কোনও না কোনও রূপে পৌঁছে যান হনুমান। রামায়ণ পাঠ হচ্ছে, এমন অনেক জায়গায় হনুমানকে বসে থাকতে দেখা যায়।





