Karwa Chouth 2022: জানুন করবা চৌথের সঠিক সময়, উপবাসের নিয়ম, ইতিহাস ও গুরুত্ব

Importance of Karwa chauth: বিবাহিত হিন্দু নারীরা তাদের স্বামীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের জন্য এই করবা চৌথ ব্রত পালন করেন। করেন নির্জলা উপবাস। মহিলারা এই দিনে খাবার এবং জল গ্রহণ করেন না।

Karwa Chouth 2022: জানুন করবা চৌথের সঠিক সময়, উপবাসের নিয়ম, ইতিহাস ও গুরুত্ব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 13, 2022 | 6:05 AM

হিন্দু ধর্মে (Hinduism) করবা চৌথের (Karwa Chauth 2022) বিশেষ তাৎপর্য আছে। এই দিনে মহিলারা তাদের স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে নির্জলা উপবাস পালন করেন। কথিত আছে নিয়ম মেনে এই উপবাস পালন করলে দাম্পত্য জীবনে সুখ আসে। চলতি বছরে এই উপবাস পালনের সঠিক দিন ১৩ অক্টোবর। করবা চৌথের দিন, মহিলারা সারা দিন নির্জলা উপবাস পালনের পর রাতে চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদন করে উপবাস ভাঙেন। তাই এই উপবাসে চাঁদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

করবা চৌথ ২০২২ শুভ সময়

এই বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথি শুরু হচ্ছে ১৩ অক্টোবর সকাল ১টা ৫৯ মিনিটে। শেষ হবে ১৪ অক্টোবর ভোর ৩টা ৮ মিনিটে। উদয় তিথি অনুসারে, করবা চৌথের উপোস করতে হবে ১৩ অক্টোবর। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে পূজার শুভ সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। এই উপবাসে চাঁদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে কারণ চাঁদ দেখেই উপোস ভাঙা হয়। ১৩ অক্টোবর, চন্দ্রোদয় ঘটবে রাত ৮ টা ১৯ মিনিটে।

করবা চৌথের গুরুত্ব

বিবাহিত হিন্দু নারীরা তাদের স্বামীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের জন্য এই করবা চৌথ ব্রত পালন করেন। করেন নির্জলা উপবাস। মহিলারা এই দিনে খাবার এবং জল গ্রহণ করেন না। রাতে চালুনিতে চাঁদ দেখে তারপরই উপোস ভঙ্গ করা যায়। করবা চৌথের দিনে চৌথ মাতার সঙ্গে শিব ও পার্বতীরও পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে।

করবা চৌথের ইতিহাস

করবা চৌথ ব্রত পালনের পিছনে একটি পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে। সন্ধ্যায় পূজার সময় এই ব্রতকথা পাঠ করা হয়। ব্রতকথায় বীরবতী নামে এক রানীর কাহিনির বর্ণিত হয়েছে। বীরবতী ছিলেন সাত ভাইয়ের বোন। পরিবারের সকলেই তাকে খুব ভালবাসতো। বীরবতীর শীঘ্রই বিয়ে হয়ে যায়। এরপর তিনি তাঁর প্রথম করবা চৌথের ব্রতের উপবাস পালন করতে তাঁর বাপের বাড়িতে আসেন। বীরবতী ব্রত ও উপবাস সংক্রান্ত নিয়মগুলি কঠোরভাবে পালন করেন। দিন অতিবাহিত হয়। তিনি অধীর আগ্রহে চাঁদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কারণ চাঁদ না দেখে উপোস ভাঙা যায় না।

ওদিকে বোনকে তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত দেখে বীরবতির ভাইয়েরা অত্যন্ত ব্যথিত হন। তারা প্রিয় বোনকে এই অবস্থা থেকে বের করার উপায় বের করেন। তারা অশ্বত্থ গাছে একটি আয়না রেখে আসেন যার উপর আলো পড়ে প্রতিফলিত হয় ও দূর থেকে সেই আয়নাকে দেখে অবিকল চাঁদের মতোই লাগে।

এমত ব্যবস্থা করে তারা বীরবতীকে বলে, চাঁদ উঠেছে এবং উপোস ভঙ্গ করার সময় হয়েছে। বীরবতী সরল বিশ্বাসে চাঁদরূপী আয়না দর্শন করে দাঁতে সামান্য খাবার কাটতেই বাড়ির এক ভৃত্য এসে খবর দেয় তার স্বামী মারা গেছে। বীরবতীর হৃদয় ব্যথাতুর হয়ে ওঠে। সে সারা রাত ধরে কাঁদতে থাকে।

অথচ সমগ্র ঘটনাটিতে বীরবতির কোনও দোষ ছিল না। বীরবতির এহেন কষ্ট সহ্য করতে না পেরে দেবী তাঁর সম্মুখে হাজির হন। বীরবতী দেবীর কাছে সমগ্র ঘটনা বর্ণনা করেন। দেবী তখন বীরবতিকে বললেন, তুমি ফের করবা চৌথ ব্রত করো এবং পূর্ণ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিয়ম মেনে চল। বীরবতী দেবীর কথামতো কাজ করলেন। বীরবতীর ভক্তি দেখে যম দেবতা তার স্বামীকে পুনরায় প্রাণ ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হলেন।