Brahma Muhurat: দিনের এই ৪৫ মিনিট কখনও নষ্ট করবেন না! ঈশ্বরের বার্তা পাওয়া যায় এই সময়েই
God Messages: হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরকে সৃষ্টি-স্থিতি ও প্রলয়ের অধীশ্বর বলে মনে করা হয়। তবে ব্রহ্মাকে ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা বলে মনে করা হলেও তাঁকে কখনও পুজো করার চল নেই।

ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠতে অনেকেরই না পসন্দ। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্রে এই ভোরবেলার গুরুত্ব রয়েছে। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঈশ্বরের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। তবে হিন্দুশাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, ভোর হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগের মুহূর্তটাকে বিশেষ বলে মনে করা হয়। এই সময়কালকে ব্রহ্ম মুহূর্ত বলা হয়ে থাকে। বিশ্বাস করা হয়, এই ব্রহ্ম সময়েই ভগবান ব্রহ্মা গোটা জগতকে সৃষ্টি করেছিলেন। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরকে সৃষ্টি-স্থিতি ও প্রলয়ের অধীশ্বর বলে মনে করা হয়। তবে ব্রহ্মাকে ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা বলে মনে করা হলেও তাঁকে কখনও পুজো করার চল নেই।
ভালো, শান্তিতে ঘুমের জন্য যে কোনও মানুষ অনেককিছু করতে পারে। পরিষ্কার, নরম বিছানা থেকে শুরু করে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শান্তিতে ও ভালো ঘুমের প্রস্তুতি নেয়। অনেক সময় মানুষ খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠে পড়েন। ভোর ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে ঘুম ভাঙলে তা শুভ বলে মনে করা হয়। তাড়াতাড়ি ঘুমের পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে গভীর রহস্য। এর অর্থ হল দেবদেবীরা তাড়াতাড়ি উঠে বাড়িতে পুজোপাঠে মনোনিবেশ করতে চান।
ব্রহ্ম মুহুর্তের সময়
অনেকের কাছ থেকে শুনেছেন যে ব্রহ্ম মুহুর্তে ওঠা সেরা সময়। তবে অনেকেই এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, ভোর ৩টে থেকে সাড়ে ৪টে পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয় ব্রহ্ম মুহুর্ত। এই সময় দেবদেবীরা ঘুম থেকে উঠে পড়েন, তাঁদের মন থাকে শান্ত ও গভীর। তাই সেইসময় ঈশ্বরের শুভ বার্তা ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
ব্রহ্ম মুহূর্ত এত শুভ কেন?
শাস্ত্র ও পুরাণ মতে, ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে ওঠে শুভ বলে মনে করা হয়। এ সময় ঘুম থেকে ওঠলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এই সময়ে ঘুম থেকে উঠার অর্থ হল স্বর্গের সব দেবদেবীরা এই সময় জেগে উঠে পড়েন। আর সেই সময়েই ভক্তিভরে পুজো নিতে চান। এই সময় পুজোপাঠ করলে খুব তাড়াতাড়ি ঈশ্বরের কাছে বার্তা পৌঁছায় ও উপকারও মেলে। মনের ইচ্ছে দ্রুত পেতে হলে এইসময়টি হল একেবারে মোক্ষম।
