AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ganesh Chaturthi 2022: গণেশের দুজন স্ত্রী! কীভাবে হল এমন কান্ড জেনে নিন

Riddhi And Siddhi: চলতি বছরে গণেশ চতুর্থী উৎসব পালিত হবে ৩১ আগস্ট। গণেশ সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই অনেক মজার গল্প শুনেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন গণেশের কেন দুই স্ত্রী ছিল? আসুন জানি কীভাবে ঋদ্ধি আর সিদ্ধির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হল সম্পর্কিত মজার গল্প।

Ganesh Chaturthi 2022: গণেশের দুজন স্ত্রী! কীভাবে হল এমন কান্ড জেনে নিন
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2022 | 6:10 AM
Share

গণেশজিকে (Lord Ganesh) দুঃখনাশকারী দেবতা বলা হয়। ভগবান গণেশ সমস্ত দুঃখ দূর করে তাঁর ভক্তদের ইচ্ছা পূরণ করেন। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi 2022) উৎসব পালিত হয়। এই বছর গণেশ চতুর্থী পালিত হবে ৩১ অগস্ট। গণেশ সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই অনেক গল্প শুনেছেন। পৌরাণিক কাহিনি (Mythology) অনুসারে, ভগবান গণেশের দুই স্ত্রী (Two Wives) ছিলেন। ঋদ্ধি ও সিদ্ধি। কিন্তু জানেন কি গণেশজির দুই স্ত্রী ছিল কেন? পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, একবার গণেশ তপস্যা করছিলেন। ঠিক তখনই দেবী তুলসী তপস্যারত ভগবান গণেশের পাশটি দিয়ে যাচ্ছিলেন। অপূর্ব পুরুষ গণেশকে দেখে তিনি মুগ্ধ হন। দেবী তুলসী বিয়ে করতে চেয়েছিলেন গণেশকে। অথচ ভগবান গণেশ নিজেকে ব্রহ্মচারী বলে দেবী তুলসীর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এই প্রত্যাখানে দেবী তুলসী অত্যন্ত কুপিত হন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভগবান গণেশকে অভিশাপ দেন। দেবী তুলসী বলেন, ‘তোমার একটা নয়, দুটো বিয়ে হবে।’ এই অভিশাপে ভগবান গণেশও অত্যন্ত রেগে যান ও দেবী তুলসীকে অভিশাপ দেন— ‘আপনার বিয়ে হবে একজন অসুরের সঙ্গে।’ এই কারণেই ভগবান গণেশের পূজায় তুলসী ব্যবহার করা হয় না।

ভগবান গণেশের বিবাহ নিয়ে আরও একটি কাহিনি আছে। অন্য এক কিংবদন্তি অনুসারে, ভগবান গণেশ ব্রহ্মচারী থাকতে চেয়েছিলেন। কারণ তিনি মনে করতেন, তাঁর বড় পেট এবং হাতির মতো মুখের কারণে তাঁকে কেউ বিয়ে করবে না। এই কারণে তিনি ব্রহ্মচর্য পালন করা শুরু করেন। এমনকী তিনি অন্যান্য দেবতাদের বিবাহেও বাধা তৈরি করছিলেন বলে কিংবদন্তি রয়েছে।

গজাননের এহেন সিদ্ধান্তে বাকি দেবতাগণ তাঁর উপর বিরক্ত হন ও সকলে ভগবান ব্রহ্মার কাছে পৌঁছে যান। তখন ব্রহ্মার যোগবলে দুই কন্যা ‘ঋদ্ধি’ ও ‘সিদ্ধি’ আবির্ভূতা হন। তাঁরা উভয়েই ভগবান ব্রহ্মার মানস কন্যা। এর পরে ভগবান ব্রহ্মা এই দুই কন্যাকে নিয়ে শ্রীগণেশের কাছে পৌঁছান এবং তিনি দুই কন্যাকে শিক্ষা দিতে বলেন। গণপতি তাদের শিক্ষা দিতে লাগলেন। এমতাবস্থায় গজাননের কাছে যখনই কোনও দেবতার বিয়ের খবর আসত, তখনই ঋদ্ধি ও সিদ্ধি তাঁকে বিভ্রান্ত করত। একদিন গণপতি খবর পেলেন যে সমস্ত বিয়ে কোনও সমস্যা ছাড়াই হয়েছে। এর ফলে গজানন ঋদ্ধি-সিদ্ধির উপর অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন। তিনি রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে ঋদ্ধি সিদ্ধিকে অভিশাপ দিতে লাগলেন। তারপর ব্রহ্মাজী সেখানে পৌঁছে গণেশের সামনে ঋদ্ধি ও সিদ্ধির বিবাহের প্রস্তাব দেন। এরপর বেশ ধুমধাম করে বিয়ে করেন দুজনেই। এরপর তাদের দুই পুত্রের জন্ম হয় যাদের নাম শুভ ও লাভ।

আসলে এই গল্পের মধ্যে অন্য এখ রূপক লুকিয়ে আছে। ভগবান গণেশের মাথাটি হল হাতির মতো। এর অর্থ হল তিনি জ্ঞানের আধার। তবে শুধউ জ্ঞান থাকলেই হবে না। জ্ঞানের সঠিক ব্যবহারের জন্য দরকার প্রশাসনিক দক্ষতা ও পরিচালন ক্ষমতা। ঋদ্ধি এবং সিদ্ধ হলেন এই দক্ষতা ও ক্ষমতা। অতএব জীবনের মার্গ পেতে হলে গণেশ চতুর্থীর জন্য প্রস্তুত হন।