Garuda Purana: এই ৪ জিনিস সঙ্গে থাকলে আত্মার সরাসরি স্থান মেলে বৈকুন্ঠধামে! বলা আছে গরুড় পুরাণে
Spirituality: মৃত্যুর পর হিন্দু মতে মনে করা হয়, বেশ কিছু কাজ বা জিনিস দান করলে আত্মার শান্তি মেলে, স্বর্গবাস করে। তাই মৃত্যু আসন্ন হলে আত্মার শান্তি কামনার জন্য গরুড় পুরাণ অনুযায়ী বেশ কিছু জিনিস প্রদান করতে হয়, যেগুলি মৃত্যুর পর সঙ্গে রাখা আবশ্যিক।

জীবনের সবচেয়ে অনিবার্য সত্য হল মৃত্যু। জন্মালে মৃত্যু ঘটবেই। পৃথিবীতে যখন একবার আসা হয়েছে, তখন একবার পৃথিবী ছেড়ে চলেও যেতে হবে। হিন্দু ধর্মে মনে করা হয়, একজন ব্যক্তির আত্মা তার কর্মের উপর নির্ভর করে থাকে। সেই কর্মের ভিত্তিতে স্বর্গযাত্রা বা নরক স্থান পাওয়া হয়। অধিকাংশ মানুষই জীবনযাত্রায় ভালো-মন্দ কাজ করে থাকেন, সেই কাজে নিরিখে মৃত্যুর পর ঠাঁই হয় স্বর্গ ও নরকে। আবার অনেক সময় অজান্তেই বেশ কিছু অধার্মিক কাজ করা হয়ে থাকে। মৃত্যুর পর হিন্দু মতে মনে করা হয়, বেশ কিছু কাজ বা জিনিস দান করলে আত্মার শান্তি মেলে, স্বর্গবাস করে। তাই মৃত্যু আসন্ন হলে আত্মার শান্তি কামনার জন্য গরুড় পুরাণ অনুযায়ী বেশ কিছু জিনিস প্রদান করতে হয়, যেগুলি মৃত্যুর পর সঙ্গে রাখা আবশ্যিক।
গঙ্গার জল
হিন্দু ধর্মে গঙ্গা জলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যে কোনও শুভ কাজে গঙ্গাজলের ভূমিকা অপরিহার্য। তবে ধর্মীয় ও ঐতিহ্যগত বিশ্বাস অনুসারে, গঙ্গার জল মোক্ষ প্রদানকারী বলে মনে করা হয়। মানুষের মৃত্যু হলে তার মুখে গঙ্গাজলের কয়েকফোঁটা দিলে তার সমস্ত পাপ নষ্ট হয়ে যায়। আত্মা স্বর্গলাভ করে বলেও মনে করা হয়।
ভগবত গীতা
মৃত্যুর সময় যদি কোনও ব্যক্তির কাছে ভগবদ্গীতা পাঠ করা হয়, তবে সেই ব্যক্তি সহজেই তার আত্মা দেহ থেকে ত্যাগ করতে পারেন। এমনকি যমদূতও তাঁর আত্মা স্পর্শ করতে পারে না। এর অর্থ হল, সেই ব্যক্তি স্বর্গযাত্রা করেছে।
তুলসী পাতা
হিন্দু ধর্মে তুলসীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, অত্যন্ত শুভ। মৃত্যুর সময় তুলসী পাতা মুমূর্ষু ব্যক্তির মুখে রাখলে তার পরিণাম সুখী হয় ও তার আত্মা স্বর্গে স্থান পায়।
শ্রীরাম নাম
ভগবান শ্রীরামের নাম নিলে মানুষের সমস্ত পাপ নাশ হয়ে যায় বলে মনে করা হয়। মৃত্যুর সময় কেউ যদি শ্রীরামের নাম জপ করেন তবে সে যমরাজের শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যখন মনে হয় অন্তিম মুহূর্ত আসন্ন, তখন তাকে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো উচিত ও তার চারপাশের জায়গা পরিষ্কার করে সুগন্ধী ধূপ জ্বালিয়ে রাখা উচিত।