Maha Kumbh 2025: পাপমুক্তির জন্য গঙ্গাস্নান করেন সকলেই, গঙ্গার পাপ ধুয়ে দেয় কে?
Maha Kumbh 2025: গঙ্গায় স্নানের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি শারীরিক পবিত্রতা, মানসিক শান্তি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ করেন। শাস্ত্র অনুসারে গঙ্গায় স্নান করলে ১০ ধরণের পাপ থেকে মুক্তি মেলে।

মহাকুম্ভে পুণ্য তিথিতে সঙ্গমে গিয়ে স্নান করলে ধুয়ে যায় সব পাপ। মনে করা হয় ১০০০ যজ্ঞ করলে যে পুণ্য লাভ হয়, মহাকুম্ভে একবার অমৃত স্নান করলেই নাকি তার সমান পুন্য লাভ করা সম্ভব। সেই কারণে কোটি কোটি মানুষ গঙ্গায় স্নান করার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন প্রয়াগরাজে।
বিশ্বাস, গঙ্গায় স্নান করলে জীবনের পাপ ধুয়ে যায়। গঙ্গাকে ভারতের সবচেয়ে পবিত্র নদী হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। মৃত্যুর পরে অস্থি গঙ্গায় বিসর্জন দিলে সেই ব্যক্তি মোক্ষ লাভ করে। এই সব কারণেই হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী বহু মানুষ গঙ্গা স্নানকে বিশেষ গুরুত্ব দেন।
গঙ্গায় স্নানের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি শারীরিক পবিত্রতা, মানসিক শান্তি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ করেন। শাস্ত্র অনুসারে গঙ্গায় স্নান করলে ১০ ধরণের পাপ থেকে মুক্তি মেলে।
গঙ্গা স্নান করলে তো সকলের পাপ ধুয়ে যায়। সেই গঙ্গা নিজেকে কী ভাবে পবিত্র করে রাখেন জানেন? হিন্দু শাস্ত্রে গঙ্গাকেও দেবী হিসাবে কল্পনা করা হয়েছে। ভগীরথ নিজে স্বর্গ থেকে দেবী গঙ্গাকে বয়ে নিয়ে আসেন মর্ত্যে। যে গঙ্গায় এক ডুব দিলে নিজের সব পাপ ধুয়ে যায়, সে নিজেকে শুদ্ধ করে কী করে, জানেন?
শাস্ত্র মতে মা গঙ্গার কাজ হল মানুষের পাপ ধুয়ে ফেলা। আর গঙ্গাকে পবিত্র করার জন্যই সাধু-সন্ন্যাসীদের মর্ত্যে পাঠিয়েছেন ঈশ্বর। শাস্ত্র মতে যখন অন্যের পাপ ধুতে ধুতে গঙ্গা অপবিত্র হয়ে পড়ে, তখনই তপস্বী, সন্ন্যাসীরা গঙ্গায় স্নান করেন। সাধুদের তপস্যার শক্তিতে শুদ্ধ হয়ে ওঠেন স্বয়ং গঙ্গা। তুলসীদাস বলেন যিনি প্রকৃত সাধক, কেবলমাত্র তিনিই গঙ্গার মঙ্গল করতে পারেন।
