Kaal Bhairav 2022: জীবনের পথ হোক মাখনের মত! কাল ভৈরবকে তুষ্ট করতে কাকে আগে ভোগ দান করবেন, জানুন
Prosperity In Life: কাল ভৈরবের পুজো অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করা হয়। কারণ এর মাধ্যমেই পুজোয় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা সংশোধন করা যাওয়ার উপায় নেই।

কাল ভৈরব হল মহাদেবের এক অন্য অবতার। মার্গশীর্ষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে তিনি অবতীর্ণ হয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এবছর এই শুভ তিথি পড়েছে ১৬ নভেম্বর, বুধবার। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই দিনে ভক্তিভরে উপবাস করে পুজোপার্বণ করলে মহাদিদেব দ্রুত প্রসন্ন হোন। ভক্তদের সব ইচ্ছে পূরণ করতেই এই অবতারে আগমন ঘটে। কাল ভৈরবের পুজো অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করা হয়। কারণ এর মাধ্যমেই পুজোয় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা সংশোধন করা যাওয়ার উপায় নেই। এই পুজোর প্রভাবে নেতিবাচক ও অশুভ শক্তির বিনাস ঘটে বলে মনে করা হয়। প্রসঙ্গত, কাল ভৈরব হলেন শিবের রুদ্র রূপ। তন্ত্র-মন্ত্রেরও দেবতা বলে মনে করা হয়। কাল ভৈরবাষ্টমীতে কাল ভৈরবেপ পুজো করলে জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে বলে হিন্দুদের বিশ্বাস।
জ্যোতিষমতে, ভগবান কাল ভৈরবকে সিঁদুর ও জুঁই ফুলের তেল দিয়ে পুজো করা হয়। শিবের পুজোর মতনই কাল ভৈরবকে প্রদোষকালে পুজো করার নিয়ম। সূর্যাস্তের পরএই কাল ভৈরবের পুজো করা হয়। প্রদোষের সময়কালে এই পুজোর আগে স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরতে হয়। এরপর ভৈরব মন্দিরে ‘ওম কালভৈরবয় নমঃ’ মন্ত্র উচ্চারণ করার সময় বেলপত্রে লাল বা সাদা চন্দন লাগিয়ে অর্পন করুন। এছাড়া বেলপাতায় চন্দন দিয়ে ‘ওম’ লিখে ভগবান কাল ভৈরব বা শিবলিঙ্গকে অর্পণ করতে পারেন।
ভৈরবের পুজোয় যেপাত্র দিয়ে অর্ঘ্য নিবেদন করবেন, তা যেন উত্তর দিকে মুখে করে রাখা থাকে। ওম লেখা বেলপাতাও যেন উত্তরমুখী করা থাকে, তা লক্ষ্য রাখতে হবে। এরপর লাল চন্দন, অক্ষত, ফুল, সুপারি, নারকেল, ফুলের মালা ও দক্ষিণা অর্পন করুন। গুড়, ছোলা, বাতাসা দিয়ে নৈবেদ্য সাজিয়ে রাখুন। সবসময় মনে রাখবেন, কাল ভৈরবের পুজোয় ব্যবহৃত প্রদীপ সরষের তেলে জ্বালাতে হবে। এই দিনে যদি কালো কুকুরকে রুটি খাওয়াতে পারেন, তাহলে ভাগ্য হবে সহায়।
কাল ভৈরবের পরে শিবপুজো করুন
কাল ভৈরবের পুজো করার পর শিবপুজো করা আবশ্যক। সঙ্গে পার্বতী গণেশ ও কার্তিকের পুজোও করা উচিত। এই তিন দেবতাকে অভিষেক করার পর পার্বতীকে বেল পাতা, ফুল, ও লাল ওড়না অর্পন করুন। হিন্দু আচার-অনুষ্ঠান মেনে পুজো করার পর ভোগ নিবেদন করুন। পুজো শেষে ধূপ- প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করার নিয়ম রয়েছে।
কী কী দান করলে মঙ্গল হবে আপনার
কাল ভৈরবের উপাসনা করা ও উপবাস করে পুজো দেওয়া, সব শিবভক্তেরই কাম্য। এই পুজো করলে সব রকমের ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কালভৈরবের ভোগে অবশ্য়ই খিচুরি, গুড়, তেল ও চাল রাখবেন। নৈবেদ্য় হিসেবে সাজানোর পর এই দিন লেবু, কালো তিল, ধূপ, সরষের তেল, অরহর ডাল, মালপোয়ো ইত্যাদি দান করা যেতে পারে। এই জিনিসগুলি দান করলে জীবনের সমস্ত ঝামেলা, বিদ্বেষ, সমস্যা দূর হয়ে সাফল্য ও উন্নতির মুখ দেখতে পারেন।
এইদিন এই জিনিসটি কুকুরকে খাওয়ান
কাল ভৈরবের বাহন হল কালো কুকুর। তাই এদিন কুকুরকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কাল ভৈরবষ্টমীর দিন ভগবান ভৈরবের আশীর্বাদ যদি পেতে চান, তাহলে কুকুরকে মিষ্টি রুটি বা গুড়ে পুডিং খাওয়ান। এতে করে কাল ভৈরবকে প্রসন্ন হন। ভৈরব তুষ্ট হলে ভক্তদের মনষ্কামনা পূরণ করেন বলে মনে করা হয়।
এই দিনে কোন কোন কাজ করবেন না
কাল ভৈরবষ্টমীতে কোনও প্রকার অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িতে থাকবেন না।
– এদিন মাংস, আঁশযুক্ত খাবার, অ্যালকোহল ও ধূমপান থেকে দূরে থাকবেন।
– কারোর উপর অযথা রাগ দেখাবেন না। রাগ করে ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না।
– সেই সঙ্গে পরিবারের শান্তি বজায় রাখতে এদিন কাল ভৈরবের মন্ত্র জপ করুন।
