Vastu Tips: বাস্তুমতে, এইভাবে ধরে রাখুন পবিত্র বৃষ্টির জল! দূর হবে সব ধরনের আর্থিক সমস্যা!

Monsoon Rain Water: বাস্তু ও জ্যোতিষ— উভয় শাস্ত্রেই বৃষ্টির জলের মাধ্যমে ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার অনেক উপায় বর্ণিত রয়েছে। প্রশ্ন হল কীভাবে?

Vastu Tips: বাস্তুমতে, এইভাবে ধরে রাখুন পবিত্র বৃষ্টির জল! দূর হবে সব ধরনের আর্থিক সমস্যা!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2022 | 12:30 PM

দেশের নানা প্রান্তে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত (Heavy Rainfall)। জানলে অবাক হবেন, মরশুম শুধু জলের বৃষ্টির (Rain Water) নয় বরং অর্থের বৃষ্টির ঋতুও (Monsoon Season) বটে। এমনিতে হিন্দুধর্মে বৃষ্টিকে অত্যন্ত পবিত্র বলেই মনে করা হয়। কারণ জল নানাভাবে মানবজাতির উপকার করে। জল ছাড়া আমাদের জীবন অতিবাহিত করা অসম্ভব। জলই জীবন। জল ছাড়া কৃষিকাজ করা অসম্ভব। কৃষ্টিকাজ না হলে খাদ্য পাওয়াও সম্ভব নয়। তাছাড়া বাস্তু এবং জ্যোতিষশাস্ত্রেও জলকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। জল সমৃদ্ধি ও ভরে ওঠার প্রতীক। বাস্তুশাস্ত্র (Vastushastra) অনুসারে কোনও বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে কোনও জলাধার বা জলের উৎস থাকলে তা অত্যন্ত শুভ। অন্যদিকে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গৃহ থকে কোনও ভালো কাজে বেরনোর আগে জলপূর্ণ পাত্র দেখা শুভ ফল দেয়। ফলে বৃষ্টির জলও যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পক্ষে অত্যন্ত শুভ ফলদায়ী সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে আর্থিক নানা সমস্যার সমাধানে বৃষ্টির জলের বিশেষ ভূমিকা আছে।

বাস্তু ও জ্যোতিষ— উভয় শাস্ত্রেই বৃষ্টির জলের মাধ্যমে ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার অনেক উপায় বর্ণিত রয়েছে। প্রশ্ন হল কীভাবে?

ব্যর্থতা থেকে মুক্তি

ব্যবসায় বারবার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন? কোনওভাবেই লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না? কোনও কাজই এগচ্ছে না? আচমকা যেন মন্দা গ্রাস করেছে আপনার ব্যবসাকে? অংশীদাররা ক্রমাগত আপনার বিরোধিতা করে আসছে এবং তার ফলে কোনও কাজই আর সাফল্যের মুখ দেখছে না? ব্যবসার কাজে ঘর থেকে বেরতে চেয়েও পারছেন না? ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ? বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কোনও ব্যক্তি বারংবার ব্যবসায় অর্থ হারাতে থাকলে তাঁর কাছে হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধারের উপায় আছে। তাঁর উচিত হলুদ পাত্রে বা পরিষ্কার পিতলের পাত্রে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করা। এরপর একাদশীর দিন সংগৃহীত জল দিয়ে দেবী লক্ষ্মী এবং নারায়ণের পূজা দিন, অভিষেক করুন। এর ফলে ব্যবসায় নেমে আসা দুর্যোগ কেটে যাবে।

ঋণ থেকে মুক্তি

মনে হচ্ছে, গৃহে যেন আঁধার নেমে এসেছে? ক্রমাগত ঋণে ঋণে জর্জরিত হয়ে যাচ্ছেন? একটা ঋণ শুধতে গিয়ে অন্য ঋণে জড়িয়ে পড়ছেন? হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও ঋণ শুধতে পারছেন না? যা রোজগার করছেন তা অন্যপথে খরচ হয়ে যাচ্ছে? আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারছেন যে কোনও এক অদৃশ্য নেতিবাচক শক্তিই সমস্ত দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে? আর সেই কারণেই আপনি ক্রমাগত ঋণের জালে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাচ্ছেন? বাস্তুশাস্ত্রে এমন সমস্যার সমাধান রয়েছে। ঋণ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনি বৃষ্টির জল সংগ্রহ করুন। এরপর হনুমানজির সামনে রাখুন এবং গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে প্রতিদিন হনুমান চালিশা পাঠ করুন। তারপর সেই জল গৃহের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জীবন ভরে উঠবে সুখ ও সম্পদে।

মৃৎপাত্রে বৃষ্টির জল

জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন মারাত্মক পরিশ্রম করেও কোনও ফল মেলে না। গাধার খাটনি খেটেও হাতে আসে সামান্য অর্থ। মনে হয় জীবন একটি অন্ধ কুয়োয় আটকে পড়েছে। অর্থের অভাবে মানুষ চিকিৎসা করাতে পারেন না বা কোনও দরকারি বস্তু কিনতে পারেন না। এমনকী সন্তানের লেখাপড়ার ক্ষেত্রেও তৈরি হয় বিপুল বাধা। অথচ কী আশ্চর্য, বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে, আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হলে অবশ্যই বৃষ্টির জলের শরণাপন্ন হন। আমাদের মনে রাখতে হবে, মাটি হল আমাদের ভিত্তি। মজবুত ভিতের উপরেই জল জীবনের সঞ্চার ঘটায়। তাই কোনওরকম আর্থিক সমস্যার কারণে প্রাণহীন বোধ করলে একটি মাটির পাত্রে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করুন ও বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে রাখুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আর্থিক সমস্যা কেটে যাচ্ছে! জীবন হয়ে উঠছে সাফল্যমণ্ডিত।

একটি পাত্রে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করুন

সকলের জীবন সবসময় একখাতে বয় না। জীবনে এমন অবস্থাও আসে যখন হঠাৎ করে একসঙ্গে অনেকখানি অর্থের প্রয়োজন হয়। হতে পারে তা পরিবারের অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য, কিংবা ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য, অথবা পড়াশোনার জন্য। অথচ কঠোর পরিশ্রম করেও সেই অর্থ জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এমন ক্ষেত্রে অলৌকিকভাবে অর্থের জোগান দিতে পারে বৃষ্টির জল। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সঠিক উপায়ে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করা হলে তা নানাভাবে গৃহস্বামীকে অর্থের জোগান দিতে পারে। হতে পারে তিনি দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের কাছ থেকে অর্থলাভ করলেন। কিংবা অন্য কোনও জায়গায় আটকে থাকা পুরনো অর্থ হাতে পেলেন! তাই কোন ব্যক্তির অর্থের অভাব হলে, তাঁর উচিত একটি পরিষ্কার বাটিতে বৃষ্টির জলে ভরে বাড়ির ছাদে রাখা। এই উপায় অবলম্বন করলে করলে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা মেলে।

বালতিতে বৃষ্টির জল

গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে আছেন? বাড়ির সম্পদও বন্ধক রাখতে হয়েছে? কোনও ভাবেই সেগুলি ছাড়াতে পারছেন না? সকলেই আপনাকে ঋণ খেলাপকারী হিসেবে চিনে গিয়েছে? তাই নতুন ঋণও দিচ্ছে না? সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে গিয়েছে? বুঝতেই পারছেন না কীভাবে অর্থের সংস্থান করবেন আর আর সমুদ্রপ্রমাণ ঋণ পরিশোধ করবেন? এমন অবস্থাকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় বর্ণিত রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। আপনাকে আলাদা করে কিছু করতে হবে না। বাস্তু অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তির ঋণ বাড়তে থাকলে তাঁর উচিত একটি বালতিতে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করা। তবে হ্যাঁ, বালতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া দরকার। এরপর ওই বালতিতে সংগ্রহ করতে হবে বৃষ্টির জল। এরপর শক্তিমান ঈশ্বরকে স্মরণ করে তাতে দুধ মিশিয়ে দিন। সারা মাস এই জল দিয়ে স্নান করতে থাকুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনি ঋণ শোধ করতে পারছেন। সমস্ত বাধাও কেটে যাচ্ছে একটু একটু করে।