শিবলিঙ্গে এই ৩ স্থানে স্পর্শ করলেই কাটবে মাঙ্গলিক দোষ! জেনে নিন শিবপুরাণের নিদান
এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। শাস্ত্র মতে, নিষ্ঠাভরে শিবলিঙ্গের পূজা করলে জন্মকুণ্ডলীর বড় বড় দোষ থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শিবপুরাণ অনুযায়ী, শিবলিঙ্গ কেবল মহাদেবের প্রতীক নয়, এতে তাঁর গোটা পরিবারই বিরাজমান। বিশেষ কিছু স্থানে স্পর্শ করলে দূর হতে পারে মাঙ্গলিক বা মঙ্গল দোষের প্রভাবও।

মহাদেবের আরাধনা করলে জীবনের সমস্ত সংকট দূর হয়—এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। শাস্ত্র মতে, নিষ্ঠাভরে শিবলিঙ্গের পূজা করলে জন্মকুণ্ডলীর বড় বড় দোষ থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শিবপুরাণ অনুযায়ী, শিবলিঙ্গ কেবল মহাদেবের প্রতীক নয়, এতে তাঁর গোটা পরিবারই বিরাজমান। বিশেষ কিছু স্থানে স্পর্শ করলে দূর হতে পারে মাঙ্গলিক বা মঙ্গল দোষের প্রভাবও।
শিবলিঙ্গে লুকিয়ে শিব-পরিবার
পুরাণ মতে, শিবলিঙ্গের বিভিন্ন অংশে মা পার্বতী, গণেশ, কার্তিক এবং তাঁদের কন্যা অশোক সুন্দরী অধিষ্ঠান করেন। তাই শিবলিঙ্গের নির্দিষ্ট স্থানে স্পর্শ করা অত্যন্ত পুণ্যদায়ক বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে তিনটি স্থান স্পর্শ করলে মেলে বিশেষ আশীর্বাদ।
১. সন্তান সুরক্ষা ও প্রথম স্থান শিবলিঙ্গের প্রথম স্পর্শ করার স্থানটি হলো জলাধারের একেবারে সামনের দিক। মনে করা হয়, এই অংশে ভগবান গণেশ এবং কার্তিক বিরাজ করেন। পূজার পর অত্যন্ত ভক্তিভরে এই স্থানে স্পর্শ করার বিধান রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এখানে স্পর্শ করার পর হাত পেটে ছোঁয়ালে সন্তানের নিরাপত্তা ও আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
২. মাঙ্গলিক দোষ থেকে মুক্তি ও দ্বিতীয় স্থান শিবপুরাণ অনুযায়ী, শিবলিঙ্গের ওপর দিয়ে যেখানে জল প্রবাহিত হয়, তার মাঝখানের স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মহাদেবের কন্যা অশোক সুন্দরী বিরাজ করেন। বিশ্বাস করা হয় যে, এই স্থানে একটি বেলপাতা দিয়ে স্পর্শ করলে বিয়ের পথে আসা সমস্ত বাধা দূর হয়। বিশেষ করে মাঙ্গলিক দোষের অশুভ প্রভাব কমাতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
৩. সুস্বাস্থ্য ও তৃতীয় স্থান শিবলিঙ্গের জলাধারের পেছনের গোলাকার অংশটিকে বলা হয় মা পার্বতীর ‘হস্তকমল’। এটি স্পর্শ করার তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান। মনে করা হয়, এই পবিত্র স্থানে স্পর্শ করলে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে এবং কঠিন রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
সনাতন ধর্মে শিবলিঙ্গ পূজার প্রতিটি ধাপের নিজস্ব মহিমা রয়েছে। সঠিক নিয়ম মেনে এই স্পর্শ এবং আরাধনা করলে বৈবাহিক জীবন থেকে শুরু করে শারীরিক সমস্যা—সবই দূর হতে পারে বলে ভক্তদের বিশ্বাস।
