Crystal Healing Therapy: কাজে মন বসছে না, ঘুমেরও দফা-রফা অবস্থা? ক্রিস্টাল ব্যবহার করলেই বাড়বে এনার্জি
Spiritual Healing: ক্রিস্টাল হিলিংয়ের মাধ্যমে আপনি নিজের সঙ্গেও একাত্ম স্থাপন করতে পারেন। এটি আপনার মধ্যে এনার্জি লেভেল বাড়িয়ে তোলে।

সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে আমরা প্রায়শই অ্যালোপ্যাথি বা হোমিওপ্যাথির সাহায্য নিই। আবার এমনও কিছু মানুষ আছেন যাঁরা ঘরোয়া প্রতিকার কিংবা আয়ুর্বেদের সাহায্যও নেয়। কিন্তু রাগ হলে কোন চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নেন? মন খারাপ হলে কি একই গুরুত্ব দেন? এসব বিষয় নিয়ে মানুষ খুব বেশি মাথা ঘামায় না। কিন্তু মানসিক শান্তি পেতে ধ্যান করা জরুরি। তবেই আপনি আধ্যাত্মিক লাভ পাবেন। আর এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ক্রিস্টাল থেরাপি।
বৈদিক যুগে মানুষ ক্রিস্টাল থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করান। ক্রিস্টাল থেরাপি, যা ক্রিস্টাল হিলিং নামেও পরিচিত। কোনও রকম ওষুধ ছাড়াই এই থেরাপির মাধ্যমে মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠে। এই হিলিং থেরাপির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের স্বচ্ছ পাথর বা ক্রিস্টাল দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্রিস্টালগুলো শক্তি ও তাপের পরিবাহক।
এই ক্রিস্টাল হিলিং থেরাপি শরীরকে শিথিল ও শান্ত করতে এবং চাপ ও মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এই ক্রিস্টালগুলো এতটাই শক্তিশালী হয় যে এগুলো প্রতিটা রোগ নিরাময় করতে সক্ষম। এই থেরাপিতে অনেক সময় একের বেশি ক্রিস্টাল ব্যবহার করা হয়। ক্রিস্টালগুলি ব্যথার জায়গায়, আকুপাংচার পয়েন্ট এবং মেরিডিয়ানগুলিতে এক ঘণ্টার জন্য রাখা হয়। এই ক্রিস্টালগুলো যখন ব্যক্তির শরীরের উপর রাখা হয়, তখন ক্রিস্টালগুলো দেহে উপস্থিত রাসায়নিক এবং খনিজগুলিকে নিজের দিকে টেনে নেয়। আর দেহে ক্রিস্টালের বৈশিষ্ট্য পৌঁছে দেয়।
ক্রিস্টাল থেরাপি সত্যিই খুব উপকারী। দেশের প্রতিটি কোণায় এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে শুধুমাত্র এই থেরাপির মাধ্যমে মানুষের চিকিৎসা করা হয়। শুধু তাই নয়, অনেক সেলিব্রিটি আছেন যারা ক্রিস্টাল থেরাপির আশ্রয় নেন। ক্রিস্টাল থেরাপির মাধ্যমে মূলত স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা, মাথাব্যথা, শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা, শরীরের ব্যথা এবং ক্র্যাম্প, হাত-পা শক্ত হয়ে যাওয়া, ঘুমের অভাব এবং স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এবং এটি খুবই কার্যকরীও।
কোন ক্রিস্টাল সবচেয়ে উপকারী? ক্রিস্টাল থেরাপিতে অনেক ধরনের পাথর ব্যবহার করা হয়। যদিও প্রতিটি পাথরের নিজস্ব বিশেষত্ব রয়েছে। অ্যামিথিস্ট, রোডোনাইট, ওপাল এবং রোজ কোয়ার্টজ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ক্রিস্টাল থেরাপিতে। অ্যামেথিস্টের এমন ক্ষমতা রয়েছে যা অন্ত্র এবং হজমের সমস্যার জন্য অত্যন্ত উপকারী। সবুজ অ্যাভেনচুরিনের মতো পাথর হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে কাজ করে। অন্যদিকে হলুদ পোখরাজের মতো ক্রিস্টাল মস্তিষ্কের সমস্যা এবং বিষণ্ণতার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ক্রিস্টাল হিলিংয়ের মাধ্যমে আপনি নিজের সঙ্গেও একাত্ম স্থাপন করতে পারেন। এটি আপনার মধ্যে এনার্জি লেভেল বাড়িয়ে তোলে। আপনার মধ্য থেকে সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর করে। আধ্যাত্মিকতার দুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয় এই ক্রিস্টাল হিলিং। নিয়মিত এই থেরাপি করলে আপনি নিজের মধ্যে একাধিক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
