AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Paush Amavasya 2024: কবে পালিত হয় পৌষকালী পুজো? উপবাস রাখলে এই পুজোর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য জানুন

Paushkal Puja 2024: পৌষ মাসের অমাবস্যায় কালী পুজোকে পৌষকালী পুজোও বলা হয়। এই অমাবস্যা নিয়ে রয়েছে বহু পৌরণিক কাহিনি ও নানাবিধ আচার। অমাবস্যায় শুধু অশুভ শক্তি বা আত্মাকে তাড়ানোর বিশেষ দিন নয়, এদির পূর্বপুরুষদের আত্মাকে শান্তি প্রদান করতে ও মোক্ষলাভের পথকে সুগম করতেও অমাবস্যায় বিশেষ নিয়ম পালন করা হয়।

Paush Amavasya 2024: কবে পালিত হয় পৌষকালী পুজো? উপবাস রাখলে এই পুজোর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য জানুন
ছবিটি প্রতীকী
| Updated on: Jan 11, 2024 | 1:31 PM
Share

নতুন বছরের প্রথম অমাবস্যা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল এই অমাবস্যার সময় বিশেষ আচার মেনে কালী পুজো করা হয়। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, পৌষ মাসের তৃতীয় পক্ষের শুক্লা পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালন করা হয়। পৌষ মাসের অমাবস্যায় কালী পুজোকে পৌষকালী পুজোও বলা হয়। এই অমাবস্যা নিয়ে রয়েছে বহু পৌরণিক কাহিনি ও নানাবিধ আচার। অমাবস্যায় শুধু অশুভ শক্তি বা আত্মাকে তাড়ানোর বিশেষ দিন নয়, এদির পূর্বপুরুষদের আত্মাকে শান্তি প্রদান করতে ও মোক্ষলাভের পথকে সুগম করতেও অমাবস্যায় বিশেষ নিয়ম পালন করা হয়।

শাক্ত বাঙালির কাছে এদিন কালীপুজোরও রয়েছে মাহাত্ম্য। এই তিথিতে অনেকেই শুভ বলে মনে করেন না। কথিত আছে, এই তিথিতেই অশুভ শক্তিগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তৈরি হয় অশুভ যোগ। তাই সব কিছু অন্ধকার সরিয়ে ফেলতে পুজো করা হয় পৌষকালী।

সাধারণত, পৌষকালীর পুজোর সময় মূর্তি তৈরিতে গঙ্গামাটি বা পবিত্র কোনও নদীর মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়। রীতি মেনে এই কালী মূর্তির রঙ হয় কালো বা নীল। থাকে চারটি হাত। ডানদিকে উপরের হাতে থাকে শঙ্খ, নিচের হাতে খড়গ, বামদিকের উপরের হাতে থাকে ভদ্রমুদ্রা ও নিচের হাতে থাকে নরমুণ্ড। পৌষকালী শুধু দেবীই নন, তিনি সর্বশক্তির আধার। অশুভ শক্তিকে হঠিয়ে তিনি হলেন ভক্তের কল্যাণেরও দেবী।

বাঙালির কাছে পৌষ কালী পুজো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হয়। বাড়িতে বা মন্দিরে কালী মূর্তিকে স্থাপন করে রীতি মেনে পুজো করা হয়। ভোরবেলায় স্নান করে পরিষ্কার বা নতুন কাপড় পরে ভক্তরা পুজোর আয়োজন করেন। পুজোর স্থান পরিষ্কার করে সেখানে মূর্তি স্থাপন করা হয়। দেবীর জন্য ফুল, ফল, মিষ্টি,  চালের নৈবেদ্য নিদেবন করা হয়। এই পুজোর নৈবেদ্যর সময় বিশেষ করে মুলো নিবেদন করা হয়ে থাকে। সাধারণত শক্তিপুজোয় মাছ, রক্ত নিবেদন করার নিয়ম রয়েছে। তবে পৌষকালী পুজোয় নিবেদিত হয় একেবারে সাধারণ নৈবেদ্য। পুজো করা পর প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করারও নিয়ম রয়েছে। কথিত আছে, পৌষকালী আরাধনা করা হলে জীবনে সুখ-শান্তির বন্যা বয়ে যায়, নেমে আসে সৌভাগ্য ও সাফল্য।