AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mahalaya 2023: তুলি নয়, মহালয়ার দিন কুশ দিয়ে প্রথম কোন চক্ষু অঙ্কন করা হয়? জানুন গুরুত্ব ও সঠিক রীতি

Durga Puja 2023: পুরাণমতে, এদিন সবদেব-দেবীরাও তর্পণ করেছিলেন। মহালয়ার কাকভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ, তর্পণ, আগমনী গানের মাধ্যেমেই শুরু হয়ে দেবীপক্ষ। নস্টালজিক ও শাস্ত্র মিলে মিশে একাকার। এদিন যেমন পিতৃপুরু।দের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা রীতি রয়েছে, তেমনি দুর্গার চক্ষুদানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Mahalaya 2023: তুলি নয়, মহালয়ার দিন কুশ দিয়ে প্রথম কোন চক্ষু অঙ্কন করা হয়? জানুন গুরুত্ব ও সঠিক রীতি
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Oct 13, 2023 | 3:59 PM
Share

মহালয়া মানেই দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু। মহালয়ার দিন অবসান হয় পিতৃপক্ষের, শুরু হয় দেবীপক্ষের। আক্ষরিক অর্থে সেদিন থেকেই শুরু হয় দুর্গাপুজোর। হিন্দুধর্মে মহালয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্য তর্পণ বা পিণ্ডদান দেওয়ার রীতি রয়েছে। শুধু তাই নয়, মহালয়ার দিন দেবী দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তিতে চক্ষুদান করা হয়ে থাকে। পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের সূচণালগ্নকেই মহালয়া বলা হয়। মহালয়ার অর্থ হল, মহান যে আলয়। আর এই আলয় বা আশ্রয় হলেন দেবী দুর্গা।

পুরাণমতে, এদিন সবদেব-দেবীরাও তর্পণ করেছিলেন। মহালয়ার কাকভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ, তর্পণ, আগমনী গানের মাধ্যেমেই শুরু হয়ে দেবীপক্ষ। নস্টালজিক ও শাস্ত্র মিলে মিশে একাকার। এদিন যেমন পিতৃপুরু।দের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা রীতি রয়েছে, তেমনি দুর্গার চক্ষুদানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহাসপ্তমীতে আসলে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হলেও, এদিন প্রথা মেনে দেবীর মৃন্ময়ী মূর্তিতে চক্ষুদান পর্ব করা হয়ে থাকে। হিসেব করলে দেখা যায়, বাংলায় দুর্গাপুজো করা হত বিশেষ করে রাজবাড়ি বা বনেদি বাড়িগুলিতে। জন্মাষ্টমী পুজোর দিনেই কাঠামো পুজো হয়ে যায়। রীতি মেনে মহাসমপ্তমীর দিন নবপত্রিকার মাধ্যমে সকালে চক্ষুদান করা হয়ে থাকে। তবে দেবীপক্ষের শুরুর আগে, মহালয়ার দিন হয় চক্ষুদান পর্ব। দুর্গাপুজোয় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আচার হল এই চক্ষুদান।

মহালয়ার দিন, কাকভোরে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে শিল্পী কুশের অগ্রভাগ দিয়ে দেবীর তৃতীয় নেত্র অঙ্কন করেন। প্রথমে ত্রিনেত্রই অঙ্কন করা রীতি। তারপর বাম চোখ ও ডান নেত্র। চক্ষুদান করার সময় পুরোহিত মন্ত্র জপ করেন। অনেকেরই প্রশ্ন, মহাসপ্তমীতে চক্ষুদানের মাধ্যমে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হলেও, মহালয়ার দিন কেন চক্ষুদান করা হয়? এই সম্পর্কে অনেকে নান মত দিয়েছেন। একাংশের কথা অনুযায়ী, মহালয়ার অর্ত হল মহান যে আলয়। আর এই আলয় বা ভক্তের আশ্রয়স্থল হলেন স্বয়ং দেবী। দেবীপক্ষের শুরুতেই দেবীর আগমন বার্তা দশদিক ছড়িয়ে দিতেই এই রীতি মেনে চলা হয়। রামায়ণ মতে, শরত্‍কালে রাবণকে বধ করার জন্য দেবী দুর্গার অকালবোধন করেছিলেন। আর মহালয়া থেকেই দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তিতে চক্ষুদান করার পরই ঢাকে কাঠি পড়ে। ছড়িয়ে পড়ে উমার আগমনের বার্তা। শুরু হয় কন্যাসমা দেবীকে বরণ করার সাজসাজ রব।