AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সারা শরীরে কেন কমলা সিঁদুর মেখে থাকেন হনুমানজি, কারণ জানলে চিন্তা করবেন…

Hanuman Ji Secrets: কখনও ভেবেছেন, ভগবান হনুমানের সারা শরীরে কেন মাখানো থাকে কমলা রঙের সিঁদুর? কী হতে পারে এর কারণ? এর সঙ্গে যোগ আছে হনুমানের প্রভুর রামচন্দ্রের স্ত্রী সীতার। সীতার কোন কাণ্ড দেখে হনুমান সিঁদুর মাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জানেন?

সারা শরীরে কেন কমলা সিঁদুর মেখে থাকেন হনুমানজি, কারণ জানলে চিন্তা করবেন...
হনুমানজি।
| Updated on: Apr 09, 2024 | 7:30 AM
Share

মঙ্গলবার। হনুমানজির দিন। দেশের হাজার-হাজার মানুষ এই দিন ভগবান হনুমানের পুজো করেন। হনুমানজির কাছে নিবেদন করেন লাড্ডু। স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্রে পাঠ করেন হনুমান চালিশা। ‘রামায়ণ’ মহাকাব্যের এক বীরের নাম হনুমান। তিনি মানুষ নন। তিনি বানর প্রজাতির দেবতা। রামের জন্মের আগে থেকে হনুমান জেনে গিয়েছিলেন তাঁর প্রভু রামচন্দ্র। পবনের পুত্র হনুমান বিরাট শক্তিশালী। হাওয়ার চেয়েও জোরে ছুটতে পারেন তিনি। সূর্যকে লাড্ডু ভেবে একবার গিলে ফেলেছিলেন ছোটবেলায়। শনিদেবকেও পরাস্ত করেছিলেন। ফলে হনুমানের ভক্তদের প্রত্যেক শনিবার নিরামিষ না খেলেও চলে। হনুমানজির ভক্তরা যদি নিয়মিত হনুমান চালিশা পাঠ করেন, তা হলে তাঁদের শনিদেবের রোশ থেকে বাঁচান হনুমানজি স্বয়ং।

হনুমানজির আরও এক নাম বজরংবলী। বজরংবলী নারীদের অত্যন্ত সম্মান করেন। তিনি ব্রহ্মচারী। বিয়ে-থা করেননি। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, রামের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতেই রয়েছেন হনুমান। তিনি অমর। তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি ভক্তের আকুতি সবার আগে শুনতে পান। কোনও মানুষ সততার সঙ্গে তাঁর আরাধনা করলে, হনুমান তাঁকে নিরাশ করেন না। হনুমান সরল দেবতা। তাঁকে তুষ্ট করতে অনেক কিছু করতে হয় না ভক্তকে। কেবল হনুমান চালিশা পাঠ করলেই ভক্তের সব ভয় দূর করেন হনুমানজি।

আগেই বলা হয়েছে, হনুমান নারীদের অত্যন্ত সম্মান করেন। তাঁর কাছে সকল নারী মায়ের সমান। তাঁর প্রভু রামচন্দ্রের স্ত্রী সীতাকে নিজের মায়ের আসনে বসিয়েছিলেন হনুমান। এবং প্রভু রামকে মাথায় করে রেখেছিলেন। জানেন কি এই রামচন্দ্রের জন্যই সারা শরীরে সিঁদুর মেখে থাকেন হনুমান। এর নেপথ্যের কাহিনি জানলে অবাক হবেন।

তুলসীদাসের ‘রামায়ণ’-এ বর্ণিত আছে, সীতা একদিন তাঁর ঘরে থালা ভর্তি কমলা সিঁদুর এক চিলতে আঙুলে তুলে সিঁথিতে পরছিলেন। এমন সময় দরজার বাইরে থেকে তাঁকে ডাকেন বজরংবলী। সীতা তাঁকে ঘরে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেন। মা সীতাকে সিঁদুর পরতে দেখে বজরংবলী তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, “মা তুমি সিঁথিতে সিঁদুর পরছ কেন?” সরল বজরংবলী জানতেন না, স্বামীর লম্বা আয়ুর জন্য প্রত্যেক হিন্দু ঘরের স্ত্রী সিঁথিতে সিঁদুর পরেন।

‌সীতার মুখে অমন কথা শুনে তাঁর কাছে ছুট্টে যেন হনুমান। সেই থালা ভর্তি কমলা সিঁদুর নিজের মাথায় ঢেলে ফেলেন। তাঁর গোটা শরীরের সিঁদুর লেগে যায়। মা সীতা অবাক নয়নে তাঁকে প্রশ্ন করেন–“এ তুমি কী করলে হনুমান?” হনুমানজির জবাব, “কেন আপনি যে বললেন, প্রভু রামের লম্বা আয়ুর জন্য সিঁদুর পরছেন কপালে। তাই আমি সারা গায়ে এই সিঁদুর ঢেলে দিয়েছি, যাতে আমার প্রভু রাম অমর হয়ে থাকেন।”