News9 Plus world exclusive: ১৯৯৩ মুম্বই জঙ্গি হামলা: পরিকল্পিত এক হামলা এবং পাক সেনার মদত ছিল যথেষ্ট

The Jehadi General: নাশকতার ঘটনায় টাইগার মেমনের অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। এই টাইগার মেমন ছিল হামলার পিছনে দাউদ ইব্রাহিমের লোকাল পয়েন্ট ম্যান। তার অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে পুলিশ পাকিস্তানি মিলিটারি ফ্যাক্টরি অর্ডন্যান্সের মার্কিং করা একটি কার্টুন খুঁজে পেয়েছিল।

News9 Plus world exclusive: ১৯৯৩ মুম্বই জঙ্গি হামলা: পরিকল্পিত এক হামলা এবং পাক সেনার মদত ছিল যথেষ্ট
প্রেম মহাদেবন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 11, 2023 | 8:57 PM

প্রেম মহাদেবন

নয়া দিল্লি: ১৯৯৩ সাল। দিনটা ছিল ১২ মার্চ। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এক ভয়ঙ্কর দিন। একের পর এক বিস্ফোরণ। চারিদিকে আর্তনাদ, হাহাকার। এক লহমায় বদলে গিয়েছিল বাণিজ্য নগরীর চিত্র। ভারতের মাটিতে সবথেকে নৃশংস ও জঘন্য এক জঙ্গি হামলা। বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৫৭ জন। হামলার এই ছকের নেপথ্যে ছিল বিদেশি গুপ্তচর সংস্থা। শোনা যায়, পাকিস্তানের হাত ছিল এই হামলার পিছনে। আর এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল এক মাফিয়া গ্রুপের কিছু লোকজনকে। সেই সময় পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাভেদ নাসির।

শোনা যায়, এই মাফিয়া গোষ্ঠী নাকি ছিল দাউদ ইব্রাহিমের দলবল। যে ধাঁচে হামলা করা হয়েছিল, তা দেখে অনেকেই এই হামলার সঙ্গে ৯/১১-র মুম্বই হামলার তুলনা টেনে থাকেন। অনেকে বলেন, ৯/১১ হামলা ছিল এই ১৯৯৩ সালের হামলার পরের ধাপ।

যে জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছিল, তাদের জঙ্গির থেকে বেশি বিদেশি কোনও শক্তির ভাড়া করা গুন্ডা বলা যেতে পারে। যাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাণিজ্যনগরীতে তাণ্ডব চালানো, অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়া আর দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ তৈরি করা। আর এই লক্ষ্যপূরণের জন্য তাদের দুটি রাস্তা ছিল। প্রথমটি হল একের পর এক বিস্ফোরণ। যাতে ২৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। আর দ্বিতীয়টি ছিল সাম্প্রদায়িক দিক থেকে সংবেদনশীল জায়গাগুলিতে গোলাগুলি চালিয়ে বাণিজ্যনগরী মুম্বইতে দাঙ্গা লাগিয়ে দেওয়া। সেই কারণে জঙ্গিরা সঙ্গে করে কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেলও নিয়ে এসেছিল। যদিও এই দ্বিতীয় পর্যায়ে তারা সফল হয়নি। কারণ, প্রথম পর্যায়ে একের পর এক সিরিয়াল বিস্ফোরণের পর জঙ্গিরা ভয় পেয়ে গিয়েছিল।

আসলে বিস্ফোরণে যে ধরনের ধ্বংসলীলা চলেছিল, তাতে জঙ্গিরাই কিছুটায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। সেই কারণে, দ্বিতীয় পর্যায়ে যে দাঙ্গা বাধানোর ছক তাদের ছিল, সেটি আর সফল হয়নি। কিন্তু এরপর আবার হামলা হয় বছর পনেরো বাদে। আবারও টার্গেট সেই মুম্বই মহানগরী। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর। আরও এক বিভীষিকাময় দিন। ভারতের মাটিতে আরও এক জঙ্গি হামলা। আর এই সব হামলার মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছিল ভারতের বাইরে থেকে বসে। মুম্বইয়ে যে হামলা হয়েছে, তাকে অনেকেই বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নেওয়ার চেষ্টা হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু আদতে ব্যাপারটি তা নয়, এর নেপথ্যে রয়েছে আরও অনেক বড় মাস্টার প্ল্যান।

এই জঙ্গি হামলার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কোনও যোগ নেই। বরং এটি ছিল আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার এক বড়সড় পরিকল্পিত আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। যুদ্ধ অর্থাৎ, ভারতের সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে আক্ষরিক অর্থে যুদ্ধ ঘোষণা।

সমস্যাটি হল, যে সব খবর সেই সময় প্রকাশিত হয়েছিল, তার সিংহভাগেই দেশের অভ্যন্তরের কারণগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। ফলত এই হামলার নেপথ্যে আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও কারণ রয়েছে কি না, সেদিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সোজাসাপ্টাভাবে বলতে গেলে, এই হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর হাত ছিল। আর তারা ব্যবহার করেছিল কুখ্যাত মাফিয়া দাউদ ইব্রাহিমের ডি কোম্পানিকে।

শোনা যায়, হামলার জন্য ব্যবহৃত বিস্ফোরক, প্রায় সাত টন আরডিএক্স এবং প্রায় ৩০০টি কালাশনিকভ রাইফেলের জোগান দিয়েছিল আইএসআই। এটিকে কোনও একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা হিসেবে ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। ভারতের শহুরে এলাকায় নাশকতার যে বড়সড় ছক করা হচ্ছিল, তারই একটি অঙ্গ ছিল এটি। অনেকেই ২৬/১১ মুম্বই হামলাকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমান হিসেবে ব্যাখ্যা করে থাকেন। কিন্তু মনে রাখতে, এটি শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ থেকেই। কিংবা আরও পিছিয়ে গিয়ে দেখলে, পঞ্জাবের নাশকতায় পাকিস্তানের হাত থাকার খোঁজও পাওয়া যাবে। ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে অস্থির করে তোলার জন্য আড়াল থেকে যে অপচেষ্টা চলছিল, এসব তারই অঙ্গ। কিন্তু ১২ মার্চ যা ঘটেছিল, তা তার আগে কখনও ঘটেনি। যে ঔদ্ধত্য বা যে ধরনের নাশকতা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ঘটিয়েছিল, তা অতীতের সব সীমাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল।

১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে যে হামলা হয়েছিল, তা বাকি সবকিছুর থেকে আলাদা। এর অন্যতম কারণ হল, আর কোনও দেশেই জঙ্গি হামলায় প্রতিবেশী কোনও রাষ্ট্রের এতটা যোগ পাওয়া যায়নি। যখন এমন বড়সড় মাপের কোনও ঘটনা ঘটে, তখন অনেক কিছু বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। বিশেষ করে কারা এই নাশকতার পিছনে রয়েছে আর কারাই বা দেশের মাটিতে বোমা লাগাল… এমন বেশ কিছু বিষয়ে সরকারি স্তরে এবং বেসরকারি স্তরে উভয় পর্যায়েই আলোচনার প্রয়োজন।

নাশকতার মাস্টারমাইড কারা? তা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। কারা এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল, কারা টাকা ঢেলেছিল, কারা এই হামলা সংঘটিত করেছিল, লজিস্টিক সাপোর্ট কারা দিয়েছিল, তা হয়ত আজকের দিনেও অজানা রয়ে গিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের মদত থাকার কথা একেবার উড়িয়ে দেওয়ার মতো পোক্ত কোনও কারণ ছিল না সেই সময়ে। মনে রাখতে হবে, ততদিনে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানের মাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিয়ে আসছিল। ফলে, এই ধরনের অপারেশন কীভাবে চালাতে হয়, তার জন্য যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ততদিনে পেয়ে গিয়েছিল আইএসআই। কিন্তু নাশকতার কথা বরাবর অস্বীকার করে গিয়েছে তারা।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রমাণ অনেক

নাশকতার ঘটনায় টাইগার মেমনের অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। এই টাইগার মেমন ছিল হামলার পিছনে দাউদ ইব্রাহিমের লোকাল পয়েন্ট ম্যান। তার অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে পুলিশ পাকিস্তানি মিলিটারি ফ্যাক্টরি অর্ডন্যান্সের মার্কিং করা একটি কার্টুন খুঁজে পেয়েছিল। যে বোমাগুলি বিস্ফোরণ হয়নি, সেগুলি থেকেও যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী প্রমাণ পাওয়া যায়। উদ্ধার হয়েছিল একটি ডেটোনেটরও। সেই ডেটোনেটরটি আফগান যুদ্ধের মজুত হিসেবে পাকিস্তানে পাঠিয়েছিল মার্কিন মুলুক। আফগান মুজাহিদিনদের মাধ্যমে সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য অস্ত্রসামগ্রী হিসেবে পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল সেটি। সেই ডেটোনেটরটি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।

এর পাশাপাশি ইয়াকুব মেমন গ্রেফতারের পর যে তথ্য দিয়েছিল, তাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ইয়াকুব সেই সময় এমন বেশ কিছু প্রমাণ দিয়েছিল, যা ইঙ্গিত করে দাউদ ইব্রাহিম আইএসআই-এর নিরাপত্তা নিয়ে পাকিস্তানে ডেরা বানিয়ে বসেছিল। ঠিক যেমন টাইগার মেমনও। এর থেকেই ইঙ্গিত মেলে এই একের পর এক বিস্ফোরণ ভীষণভাবে পূর্ব পরিকল্পিত ছিল এবং পাকিস্তানি সেনার এতে যথেষ্ট হাত ছিল।

শোনা যায়, এই একই সামরিক বাহিনী সেই সময় মাদক পাচারকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভীষণভাবে জড়িত ছিল। এর আগে সোভিয়েত-বিরোধী জিহাদ এবং সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের ক্ষেত্রেও এই সামরিক বাহিনীর মদতের কথা শোনা যায়। আন্তর্জাতিক তদন্তকারী সংস্থাগুলিও সন্দেহ করছিল, আঞ্চলিক স্তরে মাদক ব্যবসার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সরকারও জড়িত ছিল। সেই সময়েই আন্তর্জাতিক অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ এবং আইএসআই-এর গোপন কার্যকলাপের মধ্যে একটি যোগসূত্রের তত্ত্বও বার বার উঠে আসছে।

আইএসআই-এর গতিবিধির দিকে নজর রাখলে বোঝা যায়, সোভিয়েত আফগান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই গুপ্তচর সংস্থার আরও বেশি বিস্তার হয়েছিল। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার ধাঁচে কোনও গোপন অভিযান চালানোর জন্য প্রশিক্ষিত হয়ে ওঠেছিল আইএসআই। কূটনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যায়, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় সিআইএ-র তরফে এক আধাসামরিক অভিযানের মতো করে এক গোপন অভিযান চালানো হয়েছিল। আইএসআই মার্কিনদের থেকে সেই কায়দা রপ্ত করেছিল।

১৯৯৩ সালে যে সময়ে এই হামলা হয়েছিল, সেই সময় পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাভেদ নাসির। ক্ষুরধার বুদ্ধি তাঁর। পাকিস্তানি মিডিয়া তাঁকে বলত স্পাইমাস্টার। নাসির ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়ার। কর্পস অব ইঞ্জিনিয়ার্সের এক পদস্থ আধিকারিক ছিলেন তিনি। পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার ক্ষেত্রের ইতিহাসে নাসিরকে প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, আইএসআই-এর বেশিরভাগ প্রধানই এসেছেন কমব্যাট বিভাগ থেকে। কিন্তু নাসির ছিলেন পুরো আলাদা। তিনি ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বরে মেজর জেনারেল হন। ষাটের দশকে যখন তিনি একজন তরুণ অফিসার ছিলেন, সেই সময় থেকেই তাঁর মধ্যে ইসলামিক মৌলবাদ প্রবল ছিল বলে শোনা যায়।

এরপর আশির দশকের শুরুর দিকে নাসিরের এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়ে যায়, যখন তিনি নিজেকে জিয়া উল হকের অধীনে নিজেকে একজন ইসলামিস্ট জেনারেল হিসেবে তুলে ধরেন। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হন। এরপর ১৯৯২ সালে তিনি এক মাসের জন্য তিনি পাকিস্তানের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলির দায়িত্ব ছিলেন। আর এমনই একটি অর্ডিন্যান্স ফ্য়াক্টরি থেকেই তৈরি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল মুম্বইতে। এরপর ১৯৯২ সালের মার্চে তিনি পাক গুপ্তচর সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পান। আর ঠিক তার এক বছর পরেই মুম্বইয়ে বিস্ফোরণ।

১৯৯৩ সালের বিস্ফোরণের আগের ঘটনা পরম্পরার দিকে যদি নজর রাখেন, তাহলে দেখা যাবে এখানে দাউদ ইব্রাহিমের ভূমিকাও ছিল যথেষ্ট। কিন্তু যদি আরও গভীরে গিয়ে দেখা যায়, তাহলে বুঝতে পারবেন, এখানে আইএসআই-এর একটি বড় হাত ছিল। গোটা বিষয়টাই ছিল একটা’চেন অব কমান্ড’। আর সেই চেনের অপারেশনাল ফ্রন্ট বা সামনের মুখটি কেবল ছিল দাউদ ইব্রাহিম।

আরও যে প্রশ্নটি উঠে আসে, সেটি হল দাউদ ইব্রাহিমই বা কেন নিজের জন্মভূমির বিরুদ্ধে এই নাশকতার ছকে হাত মেলাল? ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে এবং ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে যে দাঙ্গা হয়েছিল, তারপর থেকে দেশ ছেড়েছিল দাউদ। জানুয়ারির দাঙ্গা শুরু হয়েছিল মুম্বইয়ের ডকে। আর এই ডক নিয়ন্ত্রণ করত টাইগার মেমন। শোনা যায়, সেই সময়ে পাকিস্তানের দুই চোরা কারবারিকে আইএসআই ব্যবহার করেছিল দাউদ ইব্রাহিমের চোরাচালানের জাহাজটির উপর কব্জা করার জন্য। আর এরপর আইএসআই দাউদকে একটি অফার দিয়েছিল বলে শোনা যায়, যার সারমর্ম হল যদি দাউদ ভারত বিরোধী কার্যকলাপে সাহায্য করে, তাহলে আরব সাগরে দাউদের কারবারকে নিরাপত্তা দেবে আইএসআই।

১৯৯৩ হামলার মতো ২০০৮ সালে ২৬ নভেম্বর সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেঁপে উঠেছিল মুম্বই। সেই সময় পাকিস্তান দাবি করেছিল, তাদের দেশে এই হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়নি। যদিও ২০১৫ সালে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির প্রাক্তন DG তারিক কোসা সেদেশের এক সংবাদপত্রে লেখেন, পাকিস্তানের মাটিতেই ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এবং ১০ সন্ত্রাসবাদীই পাকিস্তানের নাগরিক।

নিউজ৯ প্লাসে দেখুন দ্য জিহাদি জেনারেল:

https://www.news9plus.com/webseries/the-jihadi-general