Vaibhav Suryavanshi: কাজ ছেড়েছিলেন বাবা, মা ঘুমোতেন মাত্র ৩ ঘণ্টা… চোখ ছলছল বৈভব সূর্যবংশীর

RR, IPL 2025: মাত্র ১৪ বছর বয়সে আইপিএলে সেঞ্চুরি করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বৈভব। বিহারের সমস্তিপুরে বাড়ি। ক্রিকেট খেলার জন্য ছেলেবেলা থেকেই পরিবারকে পাশে পেয়েছিলেন। তবে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না বৈভবের।

Vaibhav Suryavanshi: কাজ ছেড়েছিলেন বাবা, মা ঘুমোতেন মাত্র ৩ ঘণ্টা... চোখ ছলছল বৈভব সূর্যবংশীর
কাজ ছেড়েছিলেন বাবা, মা ঘুমোতেন মাত্র ৩ ঘণ্টা... চোখ ছলছল বৈভবেরImage Credit source: PTI

Apr 29, 2025 | 3:05 PM

কলকাতা: কতটা পথ পেরোলে সাফল্য আসে? পরিশ্রম যাঁরা করেন, তাঁদের এই প্রশ্ন করলে নানান উত্তর মেলে। এ বার জয়পুরে সেঞ্চুরি হাঁকানো বৈভব সূর্যবংশীর (Vaibhav Suryavanshi) মুখেও পরিশ্রমের কথা। মা-বাবার আত্মত্যাগের কথা। মাত্র ১৪ বছর বয়সে আইপিএলে সেঞ্চুরি করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বৈভব। বিহারের সমস্তিপুরে বাড়ি। ক্রিকেট খেলার জন্য ছেলেবেলা থেকেই পরিবারকে পাশে পেয়েছিলেন। তবে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না বৈভবের। তারপরও বাড়ির সকলে তাঁকে ক্রিকেট খেলার জন্য উৎসাহিত করেছেন। এ বার অতীতের কথা মনে করে সেঞ্চুরিয়ন বৈভবের চোখ ছলছল।

আইপিএলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা এক ভিডিয়োতে বৈভবকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এই জায়গায় পৌঁছেছি আমার মা-বাবার জন্য। আমি যেহেতু অনুশীলন করতে যেতাম, তাই আমার মা ১১টায় শুয়ে ২টোতে ঘুম থেকে উঠে যেত। মাত্র ৩ ঘণ্টা ঘুমোত। আমার জন্য তারপর খাবার বানাত। বাবাও উঠে পড়ত তাড়াতাড়ি। আমার জন্য বাবা কাজও ছেড়ে দেয়। আমার বড় দাদা বাবার কাজ করে। খুব কষ্ট করে সংসার চলত। তবে বাবা আমার পিছনেই লেগে থাকত। বিশ্বাস করত যে আমি ভালো খেলতে পারব।’

এরপরই বৈভব বলেন, ‘ঈশ্বর সকলকেই দেখেন। যারা পরিশ্রম করেন, তারা সাফল্যও পান। তাই আমি বলব, আমার যে সাফল্য, যেখানে আমি পৌঁছেছি পুরোটাই আমার মা-বাবার কৃতিত্ব।’

রাজস্থান যে আস্থা দেখিয়েছে তাঁর উপর, সেটার মান রাখতে চান বলে জানিয়েছেন বৈভব। তাঁর কথায়, ‘দলের জন্য ভালো কিছু করতে চাই। টিমের প্রয়োজনে কাজে লাগতে চাই। আমি তুলে ধরতে চাই নিজের সেরাটা।’ কেরিয়ারের তৃতীয় আইপিএল ম্যাচে সেঞ্চুরি, আর সেই শতরানের সুবাদে ম্যাচের সেরা পুরস্কার, চারিদিকে চলছে তাঁকে নিয়ে আলোচনা, সব কিছুর মাঝেই বৈভব দেখাচ্ছেন নিজের ধৈর্যের ঝলক।