
Image Credit source: BCCI
কলকাতা: ১১ এপ্রিল চিদম্বরমে কলকাতার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল চেন্নাই। যে চিপককে চেন্নাইয়ের দুর্গ বলা হয়, সেখানেই টানা তিন ম্যাচে হার চেন্নাইয়ের। আর এই এক ম্যাচেই মোট ৮টি রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন দুই দলের প্লেয়াররা। রেকর্ডগুলি মোটেই খুশি হওয়ার মতো নয় চেন্নাইয়ের ভক্তদের কাছে। কার্যত লজ্জার রেকর্ড।
দেখে নিন কী কী সেই রেকর্ড…
- ১০৩-৯। চিপকে চেন্নাই সুপার কিংসের সর্বনিম্ন রান। এর আগে সর্বনিম্ন রান ছিল ১০৯ রান। ওই রেকর্ড ছিল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। কেকেআরের বিরুদ্ধে ১০৩ রান চেন্নাইয়ের তৃতীয় সর্বনিম্ন রান।
- টানা ৫ ম্যাচে হার। আইপিএলের ইতিহাসে এই প্রথমবার টানা ৫ ম্যাচে হারল পাঁচবারের আইপিএলজয়ী সিএসকে।
- চিপকে হারের হ্যাটট্রিক। কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচ ধরলে চিপকে পরপর তৃতীয় হার। এর আগে কখনওই চিপকে টানা তিন ম্যাচে হারেনি সিএসকে।
- ৫৯ বল বাকি থাকতেই টার্গেটে পৌঁছে যায় কেকেআর। ৫৯ বল বাকি থাকতে হারের নিরিখে এটাই সবচেয়ে বড় পরাজয় চেন্নাইয়ের। এর আগে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৪৬ বল বাকি থাকতে ম্যাচ হারে চেন্নাই। কেকেআরের দিক থেকে দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় জয়। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৯৩ রান তাড়া করতে নেমে ৬০ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতেছিল নাইটরা।
- টানা ৬৩ বল কোনও বাউন্ডারি আসেনি। ৭.৫ ওভারে রাহুল ত্রিপাঠীর ব্যাট থেকে বাউন্ডারি আসার পর আবার ১৮.৩ ওভারে আসে বাউন্ডারি। আইপিএলের এমন ঘটনা তৃতীয়বার। এর আগে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রাজস্থানের টানা ৭৮ বলে, চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে কেকেআরের টানা ৬৮ বল কোনও বাউন্ডারি না আসার রেকর্ড রয়েছে। চেন্নাই এই পরিসংখ্যানে তৃতীয় স্থানে।
- ১৬তম বার একটিও বাউন্ডারি হজম না করেই স্পেল শেষ করেন নারিন। আগের ১৫বার এমন কীর্তি করে এক নম্বরে যুগ্মভাবে ছিলেন নারিন ও অশ্বিন। এবার ১৬বার বাউন্ডারি ছাড়া স্পেল শেষ করে এক নম্বরে নারিন।
- ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট তুলেছেন নারিন। এই নিয়ে ১৩বার ১৫এর কম রান দিলেন তিনি। ১৩ বার এমন কীর্তি করে রাশিদ খানকে পিছনে ফেললেন কেকেআরের ক্যারিবিয়ান স্পিনার।
- ৭১ রান করে চিপকে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান কেকেআরের। ২০২৩-এ চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে সর্বোচ্চ ৮০ রান করে লখনউ সুপার জায়ান্টসের।