Ranji Trophy: শাহবাজের নেতাসুলভ মনোভাব, অভিষেকের সাহসিকতায় মুগ্ধ অরুণ লাল

ম্যাচ জয়ের অন্যতম কারিগর অভিষেক পোড়েল অবশ্য বাড়তি উচ্ছ্বাসে নারাজ। তিনি বলেন, 'প্রথমে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। তবে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। কোচবিহার ট্রফিতে যে রকম ব্যাটিং করেছি, সে রকম আগ্রাসী ব্যাটিংই করতে থাকি। মাঠে নামার আগে ক্যাপ্টেন বলেছিল স্বাভাবিক খেলাই খেলতে। শাহবাজদাও আমাকে স্বাভাবিক খেলার পরামর্শ দেয়।'

Ranji Trophy: শাহবাজের নেতাসুলভ মনোভাব, অভিষেকের সাহসিকতায় মুগ্ধ অরুণ লাল
অভিষেক পোড়েল ও শাহবাজ আহমেদ। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2022 | 3:37 PM

কলকাতা: অভিষেকেই কামাল। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) অভিষেক ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন অভিষেক পোড়েল (Abhishek Porel)। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দায়িত্বশীল ইনিংস। ম্যাচ জিতিয়েও অবশ্য নির্লিপ্তই থাকছেন অভিষেক। বাড়তি উচ্ছ্বাসে গা ভাসাতে নারাজ। বরং সামনের দিকে তাকাতে চান বাংলার উইকেটকিপার ব্যাটার। দলের বিপক্ষে রক্ষাকর্তা হয়ে উঠলেন। শাহবাজের (Shahbaz Ahmad) সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। আর শাহবাজ আহমেদ গত ৩ বছরে বাংলার ইউটিলিটি ক্রিকেটার হয়ে উঠেছেন। ব্যাটিং-বোলিং উভয় বিভাগেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠতে দেখা গিয়েছে শাহবাজকে। আরসিবির অলরাউন্ডারে আরও মুগ্ধ বাংলার কোচ অরুণ লালও। একই সঙ্গে অভিষেক পোড়েলের ইনিংস দেখেও তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত। অভিষেক-শাহবাজের ১০৮ রানের জুটিতে ভর করেই বরোদাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে রঞ্জি অভিযান শুরু বাংলার।

ম্যাচের পর বাংলার কোচ অরুণ লাল তো বলেই দিলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার যে এ ভাবে ম্যাচ জেতাতে পারে তা খুব কমই দেখেছি। শুধু প্রতিভাবান বলব না, অভিষেক অনেক বড় ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারে। ভবিষ্যতে ওকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখলে অবাক হব না। কারণ, জাত ক্রিকেটারকে প্রথম দর্শনেই চেনা যায়। ওর সাহসিকতাকেও সাবাশি। আজ যে সময় ও ব্যাট করতে নেমেছিল তখন উইকেটে বল অনেক টার্ন করছিল। আকাশও মেঘলা ছিল। সঙ্গে হাওয়া দিচ্ছিল। ওই অবস্থায় অভিষেক ম্যাচেই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এক ক্রিকেটারের ও রকম ব্যাটিং আমাকে মুগ্ধ করেছে।’

ম্যাচ জয়ের অন্যতম কারিগর অভিষেক পোড়েল অবশ্য বাড়তি উচ্ছ্বাসে নারাজ। তিনি বলেন, ‘প্রথমে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। তবে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। কোচবিহার ট্রফিতে যে রকম ব্যাটিং করেছি, সে রকম আগ্রাসী ব্যাটিংই করতে থাকি। মাঠে নামার আগে ক্যাপ্টেন বলেছিল স্বাভাবিক খেলাই খেলতে। শাহবাজদাও আমাকে স্বাভাবিক খেলার পরামর্শ দেয়। তাই যখনই সুযোগ পেয়েছি হিট করেছি। দল জেতায় সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে।’ একই দলে ছিলেন দাদা ঈশান পোড়েল। ম্যাচ জয়ের পর তিনি কি বললেন ভাইকে? অভিষেক বলেন, ‘আলাদা করে দাদা কিছু বলেনি। শুধু বলেছে, ভালো ইনিংস। তবে সামনের দিকে তাকাতে হবে। ফোকাস থাকতে হবে।’

ম্যাচের সেরা শাহবাজ নিয়ে বাংলার কোচের প্রতিক্রিয়া, ‘প্রথম দিন থেকেই ও নিজেকে প্রমাণ করে আসছে। যখন যেখানে যে রকম দরকার, ও সে ভাবেই পারফর্ম করে গিয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই আমার দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র। প্রথমে মনোজের সঙ্গে, পরে অভিষেকের সঙ্গে যে ভাবে ব্যাটিং করল তা এককথায় অনবদ্য। শান্ত দেখালেও ওর মধ্যে নেতৃত্বের গুণ রয়েছে। আর ওই গুণেই সাফল্য আসছে।’

আরও পড়ুন: Ranji Trophy: ওস্তাদের মার শেষ ইনিংসে, বরোদাকে হারাল বাংলা