Ashish Nehra: আশিস নেহরা হাঁসের মাংস অর্ডার করেছিলেন! হাসির কাহিনি শোনালেন গম্ভীর
Ashish Nehra on Gautam Gambhir: আইপিএলে ২০১৪ সালে প্রথম তিন ম্য়াচেই রানের খাতাই খুলতে পারেননি গম্ভীর! শূন্য় রানে আউট মানে স্কোরবোর্ডে যেটা 'ডাক' বলা হয়ে থাকে। বাংলায় ডাক মানে হাঁসও। সেই নিয়েই মজার কাহিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথম ম্য়াচে ৮ বল খেলে ০-তেই ফিরেছিলেন গম্ভীর। পরের ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধেও একই পরিস্থিতি। এখানেই শেষ নয়, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের বিরুদ্ধেও! ডাক-এর হ্যাটট্রিক করেছিলেন গম্ভীর।

কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি আশিস নেহরা ও গৌতম গম্ভীর। এক দলের হয়ে খেলেছেন। তেমনই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ হিসেবেও। দু-জনের বন্ধুত্বের নানা মুহূর্ত রয়েছে। তেমনই মজার মুহূর্তও। বন্ধুত্বের মধ্যে কখনও এমন মজাও হয়, যাকে ঠিক বিদ্রুপ বলা না গেলেও কষ্টকর। এমনই এক মজার কাহিনি তুলে ধরেছেন গৌতম গম্ভীর। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার সময় আশিস নেহরা তাঁর জন্য ডিনারে হাঁসের মাংস অর্ডার করেছিলেন। খাওয়ানোটাই যে প্রধান উদ্দেশ্য নয়, বলাই যায়। এর নেপথ্যে কারণও ছিল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দু-বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১২ ও ২০১৪ সালে। দু-বারই নাইটদের নেতা ছিলেন গৌতম গম্ভীর। আগামী মরসুমে নাইট রাইডার্স শিবিরেই দেখা যাবে গম্ভীরকে। মেন্টরের দায়িত্বে কেকেআরে ফিরেছেন গম্ভীর। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের একটি পডকাস্টে ২০১৪ সালের একটি ঘটনা তুলে ধরেছেন গৌতম গম্ভীর। সে বার কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হলেও ওপেনার গম্ভীরের শুরুটা ভালো হয়নি।
আইপিএলে ২০১৪ সালে প্রথম তিন ম্য়াচেই রানের খাতাই খুলতে পারেননি গম্ভীর! শূন্য় রানে আউট মানে স্কোরবোর্ডে যেটা ‘ডাক’ বলা হয়ে থাকে। বাংলায় ডাক মানে হাঁসও। সেই নিয়েই মজার কাহিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথম ম্য়াচে ৮ বল খেলে ০-তেই ফিরেছিলেন গম্ভীর। পরের ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধেও একই পরিস্থিতি। এখানেই শেষ নয়, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের বিরুদ্ধেও! ডাক-এর হ্যাটট্রিক করেছিলেন গম্ভীর।
সেই ঘটনা প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেন, ‘টানা তিন ম্য়াচে শূন্য রানে আউটের পরের কথা। পুনের বিরুদ্ধে ম্য়াচ ছিল। তার আগে আমরা দিল্লির কয়েকজন নৈশভোজে গিয়েছিলাম। সকলে মিলে খাবার টেবলে অপেক্ষা করছি। আশিস নেহরা হাঁস অর্ডার করল। সেটা দিয়ে বলে, আমি হয়তো পরের ম্য়াচেও শূন্য় রানে আউট হতে পারি। সত্যি বলতে সেই অবধি কখনও হাঁসের মাংস খাইনি। ফলে নেহরার অর্ডার করা হাঁসের মাংস টেস্ট করেছিলাম। পরের ম্যাচে আমি ১ রান করেছিলাম। তারপরই নেহরার মেসেজ, এর জন্যই বলেছিলাম মাংসটা খাও। টেস্ট করে অন্তত ১ রান তো করতে পেরেছো!’
টুর্নামেন্টের বাকি মরসুমে অবশ্য দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন গম্ভীর। সব মিলিয়ে ১৬ ম্য়াচে ৩৩৫ রান করেন। টিমও চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর অবশ্য কলকাতা নাইট রাইডার্স আর কখনও চ্য়াম্পিয়ন হয়নি। ফাইনাল অবধি উঠেছে। এ বার গম্ভীর মেন্টর হয়ে ফেরায় কেকেআর সমর্থকরা স্বপ্ন দেখছেন, পুরনো দিনও ফিরবে।





