
অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথম বার মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। বাইশগজেও পাকিস্তানকে দুরমুশ করাই যে টার্গেট, এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। জয় দিয়ে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করেছিল ভারত। নজর ছিল সুপার সানডে-তেই। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারত। একপেশে জয় সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারতের। বার্থ ডে বয় ক্যাপ্টেন স্কাই নিজেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। তেমনই বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন কুলদীপ যাদব। ভারতের সামনে টার্গেট ছিল মাত্র ১২৮ রানের। ১৬ ওভারের মধ্যেই পাকিস্তানের দেওয়া লক্ষ্যপূরণ ভারতের।
দীর্ঘ সময় পর গত ম্যাচে টস জিতেছিলেন স্কাই। রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জন্মদিনে টস হার সূর্যকুমার যাদবের। তাতে অবশ্য কোনও সমস্যা হয়নি। পাকিস্তান ক্যাপ্টেন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে টস জিতলে স্কাই যা চাইতেন, সেটাই যেন পেয়ে যান। বোলিংয়ে শুরুটাও দুর্দান্ত হয় ভারতের। ইনিংসের প্রথম লিগ্যাল ডেলিভারিতেই উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। পরের ওভারে জসপ্রীত বুমরাও উইকেট নেন।
এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন কুলদীপ যাদব। সেই ধারা বজায় রইল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিলেন তিন উইকেট। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিয়ে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল ভারতের বোলিং আক্রমণ। লোয়ার অর্ডারে শাহিন আফ্রিদির ৩৩ রানের সৌজন্যে ভারতকে ১২৮ রানের টার্গেট দেয় পাকিস্তান।
রান তাড়ায় শুরুতেই বিধ্বংসী ব্যাটিং অভিষেক শর্মা ও শুভমন গিলের। যদিও ভাইস ক্যাপ্টেন শুভমনের ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। অভিষেক অবশ্য ১৩ বলে ৩১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। তিনে নামা ক্যাপ্টেন স্কাই ও তিলক ভার্মা ধৈর্যশীল ব্যাটিং করেন। জয়ের সামনে পৌঁছে উইকেট হারান তিলক। স্কাই শেষ অবধি ক্রিজে। ৩৭ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন স্কাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় রানের মধ্যে ছিলেন না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের পাশাপাশি স্কাইয়ের ব্যাটিং ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ও ক্রিকেট প্রেমীদের বাড়তি প্রাপ্তি।