
দীর্ঘদিন পর টস জেতার স্বাদ পান ভারত অধিনায়ক। সূর্যকুমার যাদব টস জেতায় মনে করা হয়েছিল প্রথমে ব্যাট করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার চেষ্টা থাকবে। যদিও বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক। পিচ-পরিস্থিতি বুঝে নিতেই এই সিদ্ধান্ত। আগামী রবিবার এই মাঠেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তার ভাবনা ইতিমধ্যেই শুরু। বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত অবশ্য প্রাথমিক ভাবে ভুলই মনে হয়েছিল। তবে ভারতীয় বোলাররা দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ান। মাত্র ৫৭ রানেই আরব আমির শাহি ইনিংস শেষ। জয় এল গত সাক্ষাতের মতোই ৯ উইকেটে!
আরব আমির শাহির বিরুদ্ধে অতীতে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল ভারত। ২০১৬ বিশ্বকাপে ৯ উইকেটে জিতেছিল। সেরা দলগুলির বিরুদ্ধে খুব বেশি খেলার সুযোগ পায় না আরব আমির শাহি। অভিজ্ঞতারও অভাব। জসপ্রীত বুমরা একটি উইকেট নিতেই তাদের লড়াই কার্যত টলমল হয়ে যায়। আত্মবিশ্বাসে বড় আঘাত করে। ২৬ রানের ওপেনিং জুটি। এরপরই একের এক উইকেট। শেষ অবধি মাত্র ৫৭ রানেই অলআউট আরব আমির শাহি। বাঁ হাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব মাত্র ৩ ওভার বোলিং করেই চার উইকেট নেন। নজর কেড়েছেন শিবম দুবেও।
ম্যাচের আগে প্রশ্ন ছিল সঞ্জু স্যামসন একাদশে সুযোগ পাবেন কি না। তেমনই সুযোগ পাওয়ার পর প্রশ্ন, সঞ্জু কোথায় ব্যাট করবেন। শুভমন গিলকে টি-টোয়েন্টিতে ফেরানো হয়েছে। ভাইস ক্যাপ্টেনও করা হয়েছে। অভিষেক শর্মার সঙ্গে শুভমন ওপেন করবেন এমন প্রত্যাশাই ছিল। সেটাই হল। শুভমন-অভিষেক ওপেনিং জুটি। সঞ্জুকেই জায়গা ছাড়তে হয়।
ছয় মেরে ইনিংসের শুরু করেন অভিষেক। পরের বলেই বাউন্ডারি। যদিও ওভারে আর রান আসেনি। দ্বিতীয় ওভারে সুযোগ পান শুভমন গিল। কত তাড়াতাড়ি ম্যাচ শেষ করে ভারত, নজর ছিল সেদিকেই। শুভমনও বিধ্বংসী মেজাজেই শুরু করেন। তেমনই কুইক সিঙ্গলও নেন। অভিষেক শর্মা জয়ের দোড়গোড়ায় আউট হন। ১৬ ডেলিভারিতে ৩০ রান করেন। তিনে নামেন ক্যাপ্টেন স্কাই। নেমেই ৬ মারেন। মাত্র ২৭ ডেলিভারিতেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। টুর্নামেন্টে ৮ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। নবম ট্রফির অভিযান শুরু ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ।