Suryakumar Yadav: হার্ডওয়ার্ক থেকে স্মার্টওয়ার্ক, ডায়েটিং, আকাশ বদলের কাহিনি ফাঁস করলেন সূর্য!
সামান্য কিছু বদলই সূর্যকে সাফল্যের আকাশে তুলে দিয়েছে। কী ভাবে নিজেকে পাল্টালেন মুম্বইকর, তুলে ধরল TV9Bangla।
মেলবোর্ন: বদলের রাস্তা কখনওই সহজ হয় না। যাঁরা নিজেদের পাল্টাতে পারেন, তাঁরা খুব ভালো করে জানেন তাঁদের সীমাবন্ধতা, প্লাস পয়েন্টও। সূর্যকুমার যাদবকে (Suryakumar Yadav) নিয়ে এ কথা এখন বলা হচ্ছে। একটা সময় ছিল, ভারতীয় টিমে নিয়মিত ছিলেন না। হার্ডওয়ার্ক করেও পাচ্ছিলেন না সাফল্য। সেই তিনিই ধীরে ধীরে স্মার্টওয়ার্ক শুরু করেছিলেন। বদলে ফেলেছিলেন ট্রেনিং রুটিন। শুরু করেছিলেন ডায়েটিং। অফসাইডে বেশি শট খেলা শুরু করেন। সামান্য কিছু বদলই সূর্যকে সাফল্যের আকাশে তুলে দিয়েছে। কী ভাবে নিজেকে পাল্টালেন মুম্বইকর, তুলে ধরল TV9Bangla।
সূর্য বলছেন, ‘২০১৭-১৮ সালের কথা। আমার স্ত্রী দেবীশার সঙ্গে বসে ঠিক করেছিলাম, হার্ডওয়ার্কের বদলে এ বার থেকে স্মার্টওয়ার্ক করব। অনেক সময় খুব পরিশ্রম করেও ফল পাওয়া যায় না। তখন রাস্তা বদলাতে হয়। আমিও তাই করে দেখতে চেয়েছিলাম, কেমন ফল পাই। অন্য ভাবে ট্রেনিং শুরু করি। ২০১৮ সালের পর আমার মনে হয়েছিল, খেলার ধরনটাও বদলাতে হবে। অফসাইডে বেশি শট খেলা শুরু করি। সেই সঙ্গে ডায়েটিং শুরু করি। এই কয়েকটা জিনিসের ফল দ্রুত পেয়েছিলাম। ২০১৮ সালের ঘরোয়া ক্রিকেটে এর সুফল পাই। পরের বছর আরও বেশি করে পাই। ধীরে ধীরে বুঝতে পারছিলাম, আমার শরীর অন্য ভাবে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে।’
২০১০ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ১১ বছর পর ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা দিতে কেন এতটা সময় লেগেছে সূর্যর? পাগলের মতো ট্রেনিং করতেন। যার সুফল খুব বেশি মিলত না। সূর্যর কথায়, ‘আমার শরীর কী চায়, বুঝতে সময় লেগেছিল। সেটা বোঝার পরই আমি এগোতে শুরু করি। তার পর আর ভাবতে হয়নি। কারণ আমি জানতাম, কতটা ট্রেনিং আমাকে করতে হবে, কী ভাবে খেলতে হবে। তার আগে আমি পাগলের মতো প্র্যাক্টিস করে যেতাম। ফল যখন মিলত না হতাশ হতাম। সোজা কথায় বললে, কোয়ান্টিটি ছিল, কোয়ালিটি ছিল না। ওই পুরো প্রক্রিয়াটা পাল্টে নিয়েছিলাম ২০১৮ সাল থেকে। তার পর সব ফর্ম্যাটেই সাফল্য পাওয়া শুরু হয়ে যায়। ধারাবাহিকতা খুঁজে পেয়ে গিয়েছিলাম।’
২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন সূর্য। তার কয়েক দিন পরই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলে ৪৩ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সূর্য বলছেন, ‘ওই সময়টা আমার কাছে অত্যন্ত কঠিন ছিল। তখন মুম্বইয়ের সব টিমমেটস আমাকে বলেছিল, তুমি ভালো খেলছ, তোমার সামনে সুযোগ ঠিক আসবেই। হতাশায় ডুবে যাওয়ার পিছনে একটা বড় কারণ ছিল, তখন আমি ভেবেছিলাম, ভারতীয় টিমে সুযোগ পেলে কী ভাবে খেলব, কী ভাবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
উইকেটের চারদিকে শট খেলতে পারার জন্য তাঁর সঙ্গে এখন তুলনা চলছে এবি ডে ভিলিয়ার্সের। সূর্য বলছেন, ‘সিমেন্টের পিচে রাবার বলে খেলার অভ্যেস সেই স্কুলে পড়ার সময় থেকে। এর ফলে স্কুপ, পুল, আপারকাট, পয়েন্টের উপর দিয়ে মারতে সুবিধা হয়।