AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SHAIK RASHEED: মাথায় ধোনির হাত, ক্যায়া বাত! অভিষেকেই মাহির মুখে প্রশংসা…

CSK, IPL 2025: শেখ রশিদের ক্লাস যে ধোনির মন কিছুটা হলেও ভরিয়েছে বলাই যায়। মাহি যে খুব তাড়াতাড়ি রশিদের হাত কিংবা হাল ছাড়বেন না, এটাও যেন নিশ্চিত। শুধু ধোনির সতর্কবার্তা মনে রাখলেই হল- অন্য ওপেনারদের দেখে যেন নিজেকে বদলে না ফেলেন রশিদ।

SHAIK RASHEED: মাথায় ধোনির হাত, ক্যায়া বাত! অভিষেকেই মাহির মুখে প্রশংসা...
মাথায় ধোনির হাত, ক্যায়া বাত! অভিষেকেই মাহির মুখে প্রশংসা...Image Credit source: X
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2025 | 1:57 PM

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ নতুন তারকার জন্ম দেয়। কখনও অপেক্ষা করায়। সুযোগ আসে। কাজে লাগাতে পারলে…। তাঁকে এখনও তারকা বলার সময় আসেনি। সবে একটা ম্যাচ খেলেছেন। বছর দুয়েক বেঞ্চে কাটিয়েছেন। অবশেষে সুযোগ মিলেছে। তাও আবার ধোনির ক্যাপ্টেন্সিতে! কথা হচ্ছে শেখ রশিদকে (SHAIK RASHEED) নিয়ে। লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচে নতুন হলুদ ফুল ফুটল।

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলে এসে অনেক ক্রিকেটারই নতুন স্তরে সুযোগ পান। সেটা আইপিএলের মঞ্চও হতে পারে। বিশ্বকাপের পর মেগা অকশন হোক কিংবা মিনি অকশন, নজর থাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দিকে। ২০২২ সালে দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ টিমে ছিলেন শেখ রশিদ। কেকেআরের অংকৃষ রঘুবংশী, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রাজ অঙ্গদ বাওয়া। শেখ রশিদ একই ব্যাচের। ২১ বছরের শেখ রশিদের উত্থান হঠাৎ নয়।

রাজ্যের প্রতিভাদের তুলে আনা, তাঁদের সঠিক প্রশিক্ষণ এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ গড়ে দেওয়া। অন্ধ্র প্রদেশে তিনটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গড়ে তোলা হয়েছিল। সমাজে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করাই ছিল লক্ষ্য। তারই এক উজ্জ্বল মুখ শেখ রশিদ।

এই সাফল্যে অনেক কৃতিত্ব তাঁর বাবা বালিশার। খুবই সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা রশিদের। তাঁর বাবা একটি কীটনাশকের দোকানে কাজ করতেন। ছেলেকে কখনও বড় স্বপ্ন দেখতে বাধা দেননি। বাবার পরিশ্রম যেন ব্যর্থ না হয়, খেয়াল রেখেছেন রশিদও। কোনও শর্টকাট নয়। ধীরে ধীরে উঠে আসা। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেছেন, অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতের হয়েও।

আইপিএলের মঞ্চে প্রথম বার খেলার সুযোগ। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নামেন। সঙ্গী ধোনির ভরসার হাত। ১৯ বলে ২৭ রান করেন। এখানে রানটা কম হতে পারে, সাহস আর জেদ অনেকটা বেশি। ২৭ এর মধ্যে ৬টি বাউন্ডারি। কোনও ফ্যান্সি শট খেলে নয়। যে কারণে মহেন্দ্র সিং ধোনিও বলতে পারলেন- ও সত্যিই খুব ভালো শট খেলেছে। সবে তো শুরু, একদম নির্ভেজাল শটেও যে দাপট দেখানো যায়, ওর ব্যাটিংয়ে সেটা ফুটে উঠেছে, আশা করি অন্যান্য ওপেনারদের দেখে নিজেকে বদলে ফেলবে না।

শেখ রশিদের ক্লাস যে ধোনির মন কিছুটা হলেও ভরিয়েছে বলাই যায়। মাহি যে খুব তাড়াতাড়ি রশিদের হাত কিংবা হাল ছাড়বেন না, এটাও যেন নিশ্চিত। শুধু ধোনির সতর্কবার্তা মনে রাখলেই হল- অন্য ওপেনারদের দেখে যেন নিজেকে বদলে না ফেলেন রশিদ।