কলকাতা: সুনীল গাভাসকর বলেছিলেন, তাঁর মতো ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে হলে বড় টাকাই দিতে হবে দিল্লিকে। একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের তলায় আবার ঋষভ পন্থ লিখেছিলেন, তাঁর থাকা না-থাকা টাকার উপরে দাঁড়িয়ে নেই। তখন থেকেই প্রশ্ন, তা হলে কি বনিবনা না হওয়ার জন্য়ই দিল্লি ক্যাপিটালস ছেড়েছেন পন্থ? এতদিনে প্রকাশ্যে এল ঘটনা। দিল্লির দুই মালিকের এক, পার্থ জিন্দাল এ নিয়ে মুখে খুললেন। তিনি যা বলেছেন, তা শোনার পর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এর ভিতরে আরও গল্প থাকতে পারে। পন্থ এবং দিল্লির সমস্যা কি আরও গভীরে পৌঁছেছিল?
পন্থকে কেন রিটেন করা হয়নি? নিলামে পন্থের জন্য দৌড়েও শেষ পর্যন্ত কেন সরে এসেছিল দিল্লি? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পার্থ জিন্দাল বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের মনোভাব এক নয়। ওর যা মনে হয়েছে, হয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই কথা বলতে পারত কোচ এবং ক্রিকেট ডিরেক্টরের সঙ্গে। আমাদের তখন মনে হয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিরও নিজের মতো ভাবার অধিকার আছে। যে কারণে আমরা এক মত হতে পারিনি। তখন আর সম্মত হওয়ার কোনও জায়গাই ছিল না।’
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, দিল্লির ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বরাবর পন্থের ভক্ত। ক্যাপ্টেন হিসেবেও পাশে থেকেছেন পন্থের। পার্থের কথা ধরলে পন্থ সৌরভকেও দিল্লি ছাড়ার ব্যাপারে কিছু বলেননি। যেটা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি দিল্লির অন্যতম মালিক। এখান থেকেই প্রশ্ন ঢুকে যাচ্ছে আরও জটিল আবর্তে। দিল্লিতে কী ঘটেছে পন্থের সঙ্গে? পন্থকে রিটেন নাই যদি করা হবে, তা হলে নিলামে তাঁর জন্যই ছুটেছিল কেন দিল্লি? আরটিএম ব্যবহার করেছিল কেন?
পার্থ কিন্তু চেষ্টা করেছিলেন পন্থ যাতে দিল্লিতেই থেকে যান। পার্থের কথায়, ‘পন্থের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। সে জন্যই একটা সুযোগ নিতে চেয়েছিলাম। দিল্লির দুটো মালিক। জিএমআর ও জেএসডব্লিউ। আমরা কিন্ত একই মনোভাব নিয়ে চলি। পন্থের সঙ্গে কিরণ আর আমি বসেছিলাম। কিন্তু যখন মনে হল, পন্থের দিক থেকে সেই দায়বদ্ধতা নেই, তখন মনে হয়েছিল, ওকে নিলামে ওঠার জন্য ছেড়ে দেওয়াই ভালো। আমরা নিলামে অন্য কাউকে বেছে নেব।’