MS Dhoni Virat Kohli : করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বিরাট-ধোনির ৯০ কোটির অনুদান? ভুয়ো খবর ছড়ালেই পুলিশের জালে!
Odisha Train Tragedy : ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনি মিলে মোট ৯০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এসব কি আদৌ সত্য?
কলকাতা: ওড়িশার বালেশ্বরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident) দুর্ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রিয়জনদের হারিয়ে শোকে পাথর নিহতদের পরিবার। এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর নিহত ও আহতদের পরিবারগুলিকে আর্থিকভাবে সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এছাড়া দেশের নামী ব্যক্তিত্বরা ভিকটিমদের পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। যেমন, প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের সন্তানরা তাঁর স্কুলে নিখরচায় পড়াশোন করতে পারবে। খোদ বীরু একথা টুইট করে জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খবর ঘুরছে। ট্রেন দুর্ঘটনার পর বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) নাকি যথাক্রমে ৩০ কোটি ও ৬০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে এই খবর। কতটা সত্যতা রয়েছে এতে? বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
বিরাট বা ধোনির তরফে এই অনুদানের বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়নি। ট্রেন দুর্ঘটনার পর বিরাট সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছিলেন মাত্র। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য রয়েছেন। ধোনি সবেমাত্র আইপিএলের পর রাঁচির বাড়িতে পৌঁছেছেন। তাঁর তরফেও ৬০ কোটি টাকা ডোনেশন দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়নি। যেটুকু জানা গিয়েছে, তা হল কোহলি ও ধোনির আর্থিক সাহায্যে খবর পুরোপুরি ভুয়ো। কেউ বা কারা ভুল তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে। টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়্যাটসঅ্যাপে ঘুরছে ধোনি-কোহলির অনুদান দেওয়ার ভুয়ো পোস্ট। এর পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যা দেখে সতর্ক করে দিয়েছে ওড়িশা পুলিশ। ওইসব পোস্ট শেয়ার করে ভুলভাল খবর ছড়ালে পোস্ট দাতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে পুলিশ।
ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্নরকম ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এইসব পোস্ট করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ। ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনা সংক্রান্ত ভুয়ো খবর এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।