ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম। ক্রিকেটে এর আমদানীর সময় থেকেই নানা বিতর্ক রয়েছে। এই পদ্ধতি যে একশো শতাংশ ঠিক নয়, মেনে নেন ক্রিকেটাররাও। যার খেসারতও দিতে হয় কোনও প্লেয়ার এবং টিমকে। মুম্বই টেস্টে ভারতের বিরুদ্ধে যাওয়া দুটি সিদ্ধান্তে ফের স্ক্যানারে ডিআরএস। একটি যশস্বী জয়সওয়াল, দ্বিতীয়টি ঋষভ পন্থের আউট। দুটোই খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। মাত্র ১৪৭ রানের টার্গেট করেও জিততে ব্যর্থ ভারত। সিদ্ধান্ত দুটি যদি ঠিকঠাক হত, ম্যাচের ফল অন্য হতেই পারত। ঋষভের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও।
প্রথম আসা যাক যশস্বীর আউটের ক্ষেত্রে। নিউজিল্যান্ডের অফস্পিনার গ্লেন ফিলিপসের বোলিংয়ে লেগ বিফোর হন যশস্বী। অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন। রিপ্লেতে দেখা যায় বলের ইমপ্যাক্ট একই সময়ে প্যাড ও ব্যাটে। কোথায় আগে লেগেছে, আল্ট্রা-এজ দিয়ে চূড়ান্ত নিশ্চিত হতে পারেননি তৃতীয় আম্পায়ার। ফলে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেন তৃতীয় আম্পায়ার। ধারাভাষ্যকাররাও বলছিলেন, হটস্পট থাকলে নিশ্চিত হওয়া যেত, বল আগে ব্যাটে লেগেছে না প্যাডে।
তেমনই ঋষভের আউটের ক্ষেত্রেও সন্দেহ থাকে। স্টেপ আউট করে শেষ মুহূর্তে ডিফেন্স ঋষভের। বল হাওয়ায়, কিপার টম ব্লান্ডেল ক্যাচ নেন। ঋষভকে আউট দেওয়া হয়। রিভিউতে দেখা যায়, বল যখন ব্যাটের পাশ দিয়ে যাচ্ছে একই সময় ব্যাট ঘসা খেয়েছে প্যাডের সঙ্গেও। ফলে স্নিকোমিটারে যে স্পাইক সেটা ব্যাট-বল নাকি ব্যাট-প্যাড এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তৃতীয় আম্পায়ার। হটস্পট থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই সেটা ক্লিয়ার হত। এ ক্ষেত্রেও মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেন তৃতীয় আম্পায়ার। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্ন উঠতেই রোহিত বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক আউট। হতাশার সিদ্ধান্ত। ওটা নিঃসন্দেহে নটআউট ছিল।’