
বলা যায় আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। কাল শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তান। ২০১৭ সালে শেষ বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হয়েছিল। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে নামছে নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচ দিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই সংস্করণের বোধন হতে চলেছে। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন অভিযান শুরু করছে ভারত। প্রথম প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। রবিবার হাইভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ১৫ ম্যাচের এই টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকতায় যে পাঁচ ব্যাটার নজর কাড়তে পারেন…।
ফখর জামান- ভারতের ম্যাচ ছাড়া বাকি সবই পাকিস্তানের মাঠে। ফলে ঘরের মাঠে কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ থাকবে পাকিস্তানি ব্যাটারদের। ব্যাটিং সহায়ক পিচে পাকিস্তানের ভরসা হয়ে উঠতে পারেন ফখর জামান। ওডিআইতে ৮৫ ম্যাচে করেছেন ৩৬২৭ রান। সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের ভরসা।
ড্যারেল মিচেল-নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটার ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন সাদা বলের ক্রিকেটে। ওয়ান ডে-তে দেশের জার্সিতে ৪৫ ম্যাচে করেছেন ১৭৬৫ রান। আধডজন সেঞ্চুরিও রয়েছে। মিডল অর্ডারে ব্যাট করে ৫০-এর উপর গড় হেলাফেলার নয়। এই টুর্নামেন্টেও বাড়তি নজর থাকবে ড্যারেলের দিকে।
হেনরিখ ক্লাসেন-গত বছরই একটা ফাইনাল খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্নায়ুর চাপ সামলে প্রোটিয়াদের হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল ভারত। একটা সময় অবধি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন। সাদা বলের ক্রিকেটে বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বিধ্বংসী ব্য়াটার। কেরিয়ারে ৫৮টি ওডিআইতে ৪৪-র উপর গড়ে ২০৭৪ রান করেছেন। ফিনিশারের ভূমিকায় অনবদ্য। এই টুর্নামেন্টেও নজর থাকবে প্রোটিয়া ব্যাটারের দিকে।
শ্রেয়স আইয়ার-ওডিআই ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় ধরেই ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বরে এমন কাউকে খুঁজছিল ভারত। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছিলেন। তেমনই সদ্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজেও দুর্দান্ত খেলেছেন। রোহিত-বিরাটের মতো অভিজ্ঞরা যেমন রয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ব্যাটিং অনেকটাই নির্ভর করবে শ্রেয়স আইয়ারের উপর।
বেন ডাকেট-সদ্য ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে সিরিজ হেরেছে ইংল্যান্ড। তবে দুই ফরম্যাটেই ভরসা দিয়েছেন ওপেনার বেন ডাকেট। ভারতের পিচে ভরসা দেওয়ায় মনে করা হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড ব্যাটিংকে নির্ভরতা দিতে পারেন এই বাঁ হাতি ওপেনার।