T20 World Cup 2021: বিরাট অধিনায়কত্বের গম্ভীর সমালোচনা গৌতমের
গৌতম গম্ভীরের মতে এ বারের বিশ্বকাপে ভারতের আশা কার্যত শেষ। বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে আর কোহলিদের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা দেখছেন না কেউই।
মুম্বই: তিনি কোনও দিনই অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) বিশেষ নম্বর দিতে চাননি। আইপিএলের মঞ্চ হোক বা ভারতীয় দলের জার্সিতে নেতা বিরাট কোহলিই হোক। গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) মুখে বারবার শোনা গিয়েছে অধিনায়ক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) প্রসংশা। অধিনায়ক বিরাট? গৌতমের মতে সাদামাটা। টি-২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup) প্রথম দুটো ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে টিম ইন্ডিয়া। আর কিছুক্ষণ পরে বিশ্বকাপে টিকে থাকার শেষ আশা নিয়ে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে ভারত (India vs Afghanistan)। এই ম্যাচের আগেও বিরাট সমালোচনায় প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দেখে গৌতির মনে হয়েছে, “কোনও পরিকল্পনা ছিল না। ছিল না ভাবনা। ছিল না পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনও ধারণা। কার কী ভূমিকা কেউ জানে না। ভারত শুধু ভাবছিল ১৭০-৮০ রান স্কোর বোর্ডে তুলতে হবে। কিন্তু কী ভাবে? কেউ জানে না। তাই শুধু হাওয়ায় উড়িয়ে খেলে গেল ব্যাটররা। যেন পকেটে কোটি কোটি টাকা আছে। কিছু টাকা উড়িয়ে দিলে কিছু যায় আসে না। সেদিন যা পরিস্থিতি ছিল তাতে বড় শটের থেকেও অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল গ্যাপে বল ঠেলে স্কোর বোর্ড চালিয়ে যাওয়া। যেটা বিরাট কোহলি করতে পারে। কেএল রাহুল করতে পারে। সূর্যকুমার যাদব পারে। তবে সূর্য সেদিন দলেই ছিল না।
নিজের কলমে অধিনায়ক বিরাটের সমালোচনা করে গৌতম গম্ভীর লিখেছেন, “কৌশল তৈরির ভূমিকায় বিরাট কোহলি আমায় কোনও দিনই খুশি করতে পারেনি। আরও একবার ও আমায় হতাশ করল। প্রথম ম্যাচের পর দলটা পরিবর্তনের কোনও প্রয়োজন ছিল না। প্রথম দলে পরিবর্তনের পাশাপাশি গোটা ব্যাটিং অর্ডারটাও বদলে গেল। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে আমি লম্বা সময় খেলেছি। এক ম্যাচে ব্যর্থ হলেই এমন হাঁটু কাঁপা পরিবর্তন করতে দেখিনি।”
গৌতম গম্ভীরের মতে এ বারের বিশ্বকাপে ভারতের আশা কার্যত শেষ। বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে আর কোহলিদের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা দেখছেন না কেউই। আজ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা। মহম্মদ নবির দলও সেমিফাইনালের দৌড়ে আছে। পরিসংখ্যানের হিসেবে বলছে ভারতের থেকে অনেক ভালো জায়গায় আছে। আজকের ম্যাচের জন্য গৌতমের টিপস, “প্যানিক কাটাতে হবে। শেষ দুটি ম্যাচে যে ক্রিকেট ভারত খেলেছে সেটা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। শরীরী ভাষাতেও পজিটিভ হয়ে উঠেত হবে। বিশ্বাস করুণ অনেক কিছু বদলের প্রয়োজন নেই। ”