CWC Retro Story: কেভিন বনাম কেভিন, ‘ব্রেইনে’ বাজিমাত; বাগান শহরে আয়ার্ল্যান্ডের সেই রূপকথা
Greatest World Cup matches: ভারতের মাটিতে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে কেভিন ও’ব্রায়েন আয়ার্ল্যান্ড ক্রিকেটে রূপকথার একটা অধ্যায় লিখেছিলেন। যা আজও সে দেশের ক্রিকেটের গর্ব। তেমনই বিশ্বকাপের ইতিহাসে একটা স্মরণীয় ম্যাচও উপহার দিয়েছিলেন ক্রিকেট বিশ্বকাপে। এ বারের বিশ্বকাপে আয়ার্ল্যান্ড নেই। তবে এমনই তথাকথিত ‘ছোট’ দল নেদারল্যান্ডস রয়েছে। তারাও কি এমনই কোনও সেরা ম্যাচের উদাহরণ তৈরি করবে?
কলকাতা: ক্রিকেট…ক্রিকেট…ক্রিকেট…। মাঝে মাঝে এক ঘেয়ে লাগে তাই না? কিন্তু বিশ্বকাপ! একে বারেই এক ঘেয়ে নয়। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা এখন অপেক্ষায়। শুধুই কি ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। বলা ভালো ক্রিকেট বিশ্ব। ৫ অক্টোবর শুরু ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। আর ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপের আগে সেরা ম্যাচের তালিকায় থাকবে না এই ম্যাচ? গত দুই পর্বে লেখা হয়েছিল, প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। আজ তাহলে ২০১১ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুর সেই রূপকথার ম্যাচ ফিরে দেখা যাক? কোন ম্যাচ! কেভিন বনাম কেভিন? বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আয়ার্ল্যান্ড! কাগজে কলমে ছোট দল। বিশ্বকাপের মঞ্চে সুযোগ পাওয়ায় যেন বড় ব্যাপার। তাদের ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল। পাওয়ার হাউস। এখন তো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও। গত বিশ্বকাপেই ঘরের মাঠে ওয়ান ডে খেতাব জিতেছে ইংল্যান্ড। ফেরা যাক, তাদের বিরুদ্ধে আয়ার্ল্যান্ডের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে।
ভারতের মাটিতে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গ্রুপ বি-র ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-আয়ার্ল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড। কেভিন পিটারসন (৫০ বলে ৫৯), জোনাথন ট্রট (৯২ বলে ৯২) এবং ইয়ান বেল (৮৬ বলে ৮১)। আয়ার্ল্যান্ড বোলারদের সৌজন্যে অতিরিক্তর খাতায় যোগ হয় আরও ২৩ রান। এর মধ্যে ২০টি ওয়াইড বল! নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২৭ রান করে ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৩২৮ রান তখনও অবধি কোনও দলই তাড়া করে জিততে পারেনি। আর আয়ার্ল্যান্ডের মতো ‘দুর্বল’ জিতবে! এ কল্পনারও বাইরে। কিন্তু ক্রিকেটে ওই যে ব্যবহার হয়, ‘অনিশ্চয়তার’ খেলা! ক্রিকেট বিশ্ব সেটাই দেখেছিল। ইনিংসের প্রথম বলেই ক্যাপ্টেন উইলিয়াম পর্টারফিল্ডের উইকেট হারায় আয়ার্ল্যান্ড। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকেন ইংল্যান্ড বোলাররা। ছ’নম্বরে ক্রিজে নামেন কেভিন ও’ব্রায়েন। অ্যালেক্স কাসাকের সঙ্গে ব্যাটে ঝড় তোলেন। দিশেহারা ইংল্যান্ড বোলাররা। কেভিন ও’ব্রায়েন ৬৩ বলে ১১৩ রানের রূপকথার ইনিংস খেলেন। কাসাক এবং তিনি দু-জনেই রানআউট হন। কিন্তু পথ হারায়নি আয়ার্ল্যান্ড। ৫ বল বাকি থাকতে রূপকথার জয় ছিনিয়ে নেয় আয়ার্ল্যান্ড।
কেভিন ও’ব্রায়েন আয়ার্ল্যান্ড ক্রিকেটে রূপকথার একটা অধ্যায় লিখেছিলেন। যা আজও তাদের ক্রিকেটের গর্ব। তেমনই বিশ্বকাপের ইতিহাসে একটা স্মরণীয় ম্যাচও উপহার দিয়েছিলেন। এ বারের বিশ্বকাপে আয়ার্ল্যান্ড নেই। তবে এমনই তথাকথিত ‘ছোট’ দল নেদারল্যান্ডস রয়েছে। তারাও কি এমনই কোনও সেরা ম্যাচের উদাহরণ তৈরি করবে?