ক্যাপ্টেন্সির বাড়তি বোঝা! হতে পারে। গত মরসুমে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি স্কোর ছিল শুভমন গিলের। অল্পের জন্য বিরাট কোহলির রেকর্ড অক্ষত ছিল। এ বার সেই শুভমন গিলই রান পাচ্ছিলেন না। অবাক হওয়ার মতোই পরিস্থিতি। অবশেষে সেই চেনা সেলিব্রেশন। সেঞ্চুরির সেলিব্রেশন। ক্যাপ্টেনকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন আর এক ওপেনার সাই সুদর্শনও। ওপেনিং জুটিতেই ২১০! শুভমনের পাশাপাশি তিন অঙ্কে সাইও। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের জন্য ২৩২ রানের টার্গেট সেট করল গুজরাট টাইটান্স।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা হয়নি। আইপিএলে ফর্ম ছিল না। টিমের পারফরম্যান্সও খারাপ। আইপিএলে ওপেনিং জুটিতে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড ছিল লোকেশ রাহুল ও কুইন্টন ডি’ককের। তাদের সেই ২১০ রানের স্কোর ছুঁয়ে ফেলল শুভমন-সাইয়ের ওপেনিং জুটি। মূল নজর ছিল প্রিন্স অব ক্রিকেটের দিকেই। ৫০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমন গিল। মরসুমের সমস্ত হতাশা পেরিয়ে সেঞ্চুরি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এটি শততম সেঞ্চুরি।
আইপিএল কেরিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি শুভমনের। ক্যাপ্টেন হিসেবে এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। চারটের মধ্যে তিনটি সেঞ্চুরিই এসেছে গুজরাট টাইটান্সের ঘরের মাঠে। সেঞ্চুরির পরই আউট হন সাই সুদর্শন। দুর্দান্ত একটা ইনিংস। ৫১ বলে ১০৩ রানে ফেরেন সাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজঘরে ক্যাপ্টেন শুভমনও। ৫৫ বলে ১০৪ রানে ফেরেন তিনি। ডেভিড মিলার ও শাহরুখ খান সেই অর্থে ঝড় তুলতে পারেননি। মিলারের ক্যাচও ফসকায়। যদিও সেটা শেষ ওভারের চতুর্থ বলে।
মিলার ১১ বলে ১৬ রান করেন। শেষ অবধি তিন উইকেটে ২৩১ রান করে গুজরাট টাইনান্স। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গুজরাট টাইটান্সের সর্বাধিক স্কোর ছিল ২৩৩। গত বছর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এই স্কোর করেছিল তারা। টাইটান্সের দ্বিতীয় সর্বাধিক স্কোর এল চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে।