
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে দুবাইয়ে ভারতীয় দল। প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। জসপ্রীত বুমরার মতো পেসার না থাকা নিঃসন্দেহে ভারতীয় শিবিরে বড় ধাক্কা। যাঁরা রয়েছেন তাঁদের উপরই ভরসা রাখতে হবে। গত বছরই আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। ব্যাট হাতে রোহিত শর্মা, ফাইনালে বিরাট কোহলি। তেমনই বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা, অর্শদীপ সিং। সকলের মাঝেও একজনের কথা ভুললে চলবে না। হার্দিক পান্ডিয়া। পুরো টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। ফাইনালে মোক্ষম সময়ে ব্রেক থ্রু। ব্যাট হাতেও বেশ কিছু ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভারতের অন্য়তম ভরসা হয়ে উঠতে পারেন হার্দিকই। তাঁর জীবন কোনও সিনেমার চিত্রনাট্যের চেয়ে কম নয়। আরও একটি তথ্য সামনে আনলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কর্ণধার নীতা অম্বানী।
একটা সময় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে একসঙ্গে খেলতেন হার্দিক ও দাদা ক্রুনাল পান্ডিয়া। ভারতীয় ক্রিকেটে দুই ভাইয়ের উত্থান মনে রাখার মতোই। ক্রুনাল জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। ঘরোয়া ক্রিকেট এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দাপিয়ে খেলছেন। আগামী আইপিএলে আরসিবিতে দেখা যাবে ক্রুনালকে। অন্যদিকে, হার্দিক পান্ডিয়া গত মরসুমেই ফিরেছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে। ব্যক্তিগত জীবন যেমন অস্বস্তিকর ছিল, তেমনই আইপিএলেও। প্রচুর বিদ্রুপ শুনতে হয়েছে। বিশ্বকাপ জেতার পর পরিস্থিতি বদলে গিয়েছিল। আগামী মরসুমেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে নেতৃত্ব দেবেন হার্দিক।
পান্ডিয়া ভাইদের নিয়ে নীতা অম্বানী বলেন, ‘আইপিএলে প্রতিটা দলেরই বাজেট নির্ধারিত থাকে। এর মাঝে নতুন প্রতিভাও তুলে আনতে হয়। রঞ্জি ট্রফি এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের নানা প্রতিযোগিতা থেকেই প্লেয়ারদের দেখতাম। আমাদের স্কাউটিং টিমেরই সদস্য দু-জনকে শিবিরে এনেছিল। রোগা দুটি ছেলে। ততটা পরিষ্কার পোশাকও নয়। ওদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ওরাই বলে, তিন বছর ধরে শুধু ম্যাগি নুডল খেয়েই কাটিয়েছে। কারণ, ওদের কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই।’
আরও যোগ করেন, ‘কিন্তু খেলার প্রতি ভালোবাসা, আবেগ, এবং ক্রিকেটের খিদেটা পেটের খিদের চেয়েও বড় ছিল। সেই দু-জন হার্দিক ও ক্রুনাল পান্ডিয়া। ২০১৫ সালে ওদের মাত্র কয়েক লাখ টাকায় টিমে নিই। আর আজ সেই হার্দিক টিমের ক্যাপ্টেন।’ সেই দুই ভাই পারফরম্যান্সও করেছেন, কোটি কোটি টাকা উপার্জন। সঙ্গে দেশের সম্মানও জিতে নিয়েছেন।