AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ICC CT 2025, AFG vs AUS: ১৮০০ কোটির সংস্কার! বৃষ্টি থামলেও ধুয়ে গেল ম্যাচ; সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

ICC Men's Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। একাধিক ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল। পাকিস্তানেরও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে এক বলও খেলা হয়নি। অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান ম্যাচও মাঝপথেই ভেস্তে গেল।

ICC CT 2025, AFG vs AUS: ১৮০০ কোটির সংস্কার! বৃষ্টি থামলেও ধুয়ে গেল ম্যাচ; সেমিতে অস্ট্রেলিয়া
Image Credit: Matthew Lewis-ICC/ICC via Getty Images
| Updated on: Feb 28, 2025 | 11:04 PM
Share

ম্যাচটা কমপ্লিট হলে হয়তো জিতত অস্ট্রেলিয়াই। পাল্লা ভারী ছিল তাদেরই। কিন্তু ক্রিকেটে অঘটনও হয়। পরের দিকে আফগানিস্তান রিকোভারি করতে পারত না, এই গ্যারান্টিও দেওয়া যায় না। যদিও সেই সুযোগই পেল না। লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামের জল নিকাশি ব্যবস্থা, মাঠের পরিকাঠামো, ম্যাচই সম্পূর্ণ করা গেল না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। একাধিক ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল। পাকিস্তানেরও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে এক বলও খেলা হয়নি। অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান ম্যাচও মাঝপথেই ভেস্তে গেল। পয়েন্ট ভাগের কারণে বাস্তবে বিদায় আফগানিস্তানের। সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করল অস্ট্রেলিয়া।

ভারতের মাটিতে গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছিল আফগানিস্তান। সেখান থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জনও করেছিল। শুরুটা ভালো হয়নি, শেষটাও হল না। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হার। নেট রান রেটে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে। আইসিসি ওডিআই টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় বার ইংল্যান্ডকে হারালেও নেট রান রেট ভালো করার সুযোগ ছিল না। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ই ছিল সেমিফাইনালের একমাত্র পথ। যদিও সরকারি ভাবে এখনও আফগানিস্তানের বিদায় লেখা যাবে না। বাস্তব অবশ্য বলছে, তাদের দৌড় শেষ।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য স্টেডিয়াম সংস্কার করেছে পাকিস্তান। রিপোর্ট অনুযায়ী লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়াম সংস্কারেই খরচ হয়েছে ১৮০০ কোটি! এই মাঠেই ভার্চুয়াল নকআউটে নেমেছিল আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানরা। যদিও এ দিন ৩০০ পেরোনো হয়নি। সিদ্দিকুল্লা অটল ৮৫ এবং আজমতুল্লা ওমরজাই ৬৭ রান করেন। শেষ অবধি ২৭৩ রান করে আফগানিস্তান।

অল্প রানের পুঁজি। শুরুতেই জোড়া ক্যাচ মিস। আফগানিস্তান সেখানেই কার্যত ব্যাকফুটে চলে যায়। এরপরই ট্রাভিস হেডের বিধ্বংসী ব্যাটিং। ১২.৫ ওভারেই ১ উইকেটে ১০৯ রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টির জন্য় খেলা থামাতে হয়। বৃষ্টি কমলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাঠ রেডি করা যায়নি। একটি মাত্র সুপার সপার দিয়ে সম্ভবও ছিল না। মাঠ রেডি করতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় প্রয়োজন ছিল! এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়, এই ম্যাচের নিষ্পত্তি হওয়া কঠিন। শেষ অবধি সেটাই হল।