
ভারত-পাকিস্তান মহারণ। দুবাইয়ের গ্যালারিতেও চাঁদের হাট। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এখানকার পরিসংখ্যান বলছে, রান তাড়া করা জয়েরই পাল্লা ভারী। যদিও পাকিস্তানের শুরুটা দেখে চাপ বেড়েছিল ভারতের। অবশেষে ব্রেক থ্রু দেন হার্দিক পান্ডিয়া। কভার ড্রাইভের লোভে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন বাবর আজম। একের সঙ্গে দুই। ক্যাপ্টেন রিজওয়ানের সঙ্গে সাউদ শাকিলের দুর্দান্ত জুটি। ভারতকে ২৪২ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান।
কথায় বলে একের সঙ্গে দুই। প্রথম ব্রেক থ্রুর দ্বিতীয়র জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ফকর জমানের পরিবর্তে স্কোয়াডে আসা ইমাম উল হক, মিড অনে বল ঠেলেই রান নিতে দৌড়েছিলেন। যদিও অক্ষর প্য়াটেল বল ধরেই উইকেট ভেঙে দেন। চতুর্থ উইকেটে দুর্দান্ত জুটি গড়েন ক্যাপ্টেন মহম্মদ রিজওয়ান ও সাউদ শাকিল। তৃতীয় উইকেটে ১০৪ রান যোগ করেন তাঁরা। এরপর ফের খেই হারায় পাকিস্তান।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে বাড়তি প্রশংসা প্রাপ্য হার্দিক পান্ডিয়া। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু দুটি তাঁর সৌজন্যেই। ওপেনিং, তৃতীয় উইকেটের পর দুর্দান্ত একটু জুটি গড়েন সলমন আঘা ও খুশদিল শাহ। কিন্তু কোনও জুটিই রানের গতি সেই অর্থে বাড়াতে পারেনি। ১৫১-২ থেকে ২০০-৭ হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। জাডেজা, কুলদীপ, অক্ষর সকলেই উইকেট নেন।
শেষ দিকে খুশদিল শাহ থাকায় পাকিস্তানের ফাইটিং স্কোরের সম্ভাবনা ছিল। ৪৯তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ছয় মারেন খুশদিল। রোহিতের মাথা নাড়ানো দেখেই বোঝা যায়, এই পিচে ২৫০ স্কোর পেরোলে ভারতের কাছে চাপ হতে পারে। তা অবশ্য হতে দেননি। ২৪১ রানেই অলআউট পাকিস্তান।