ফর্মে নেই! গত কয়েক মাস ধরে এটাই শুনতে হয়েছিল। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু বাকি ইনিংসে হতাশা। ওয়ান ডে ক্রিকেট এখন আর সেই অর্থে খেলার সুযোগ হয় না। গত বছর শ্রীলঙ্কায় তিনটে ওয়ান ডে খেলেছিল ভারত। তাতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। সদ্য ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজ। তার মধ্যে শেষ দুটো ম্যাচে খেলেছিলেন বিরাট কোহলি। প্রথমটি রান পাননি। সিরিজের শেষ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিরাট কোহলির আগে সেঞ্চুরি ছিল না। ৯৬ অপরাজিত স্কোর ছিল। এ বার সেঞ্চুরিও।
ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে দুটো ইনিংসে আউট হয়েছিলেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদের বোলিংয়ে। লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির দুর্বলতা নতুন নয়। এই নিয়েই হাজার হাজার রান করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও ভালো শুরু করেছিলেন। কিন্তু লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বোলিংয়ে ফেরন। পাকিস্তান ম্যাচের আগে প্র্যাক্টিসে প্রচুর সুইপ খেলতে দেখা যায় বিরাট কোহলিকে। পাক টিমে লেগ স্পিনার আবরার আহমেদের জন্যই বিশেষ প্রস্তুতি। সেটা কাজেও দিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও একটা দুর্দান্ত ইনিংস বিরাট কোহলির।
পাকিস্তানকে দেখলেই যেন বাড়তি এনার্জি পান বিরাট কোহলি। এ দিন শুরু থেকে সতর্ক ব্যাটিং করেন। লেগ স্পিনার আবরার আহমেদের বোলিংয়ে অতিরিক্ত ঝুঁকি নেননি। বরং নিজের ইনিংসটাকে হিসেব করে সাজিয়েছিলেন। অবশেষে ১১১ ডেলিভারিতে সেঞ্চুরি। ওয়ান ডে কেরিয়ারে সেঞ্চুরির নিরিখে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরকে গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপেই ছাপিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এ দিন ওডিআইতে ৫১তম সেঞ্চুরি করলেন চেজমাস্টার।