স্বস্তি! হয়তো। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে তাঁর ব্যাট ‘ধোঁকা’ দেয় না। যদিও গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালের আগে পর্যন্ত হতাশ করেছিলেন বিরাট কোহলি। ফাইনালের মঞ্চে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স করেছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি ওয়ান ডে খেলেছিলেন। একটি হাফসেঞ্চুরি করেন। দুই ম্যাচেই আউট হয়ছিলেন লেগ স্পিনারের বোলিংয়ে। এমনকি বাংলাদেশ ম্যাচেও শুরুটা ভালো করেও লেগ স্পিনের শিকার। পাকিস্তানের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে ঠিক জ্বলে উঠলেন।
ভারতের মাটিতে গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিটা হবে কি না সন্দেহ ছিল। বোর্ডে রান কম। শেষ মুহূর্তে দলের জয়ে প্রয়োজন ৩ রান, বিরাটের ৪ রান। অক্ষর প্যাটেল সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক দেন। বাউন্ডারি ছাড়া সেঞ্চুরির উপায় ছিল না। এক শটে সেঞ্চুরি এবং জয়। ম্যাচের সেরাও বিরাট কোহলি। একগাল হাসি নিয়ে কী বললেন কিং কোহলি?
ম্যাচের সেরার পুরস্কার হাতে বলেন, ‘এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন যে ভাবে ব্যাট করেছি, খুবই ভালো লাগছে। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচ ছিল। রোহিত আউট হওয়ার পর আমার দায়িত্বটা পরিষ্কার ছিল। মিডল ওভারে ম্যাচটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। স্পিনারদের বিরুদ্ধে অযথা ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। পেসারদের আক্রমণ করব, এটাই পরিকল্পনা ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী এগতে পেরেছি, এটাই তৃপ্তির। ওডিআই-তে এ ভাবেই খেলে থাকি।’
গত কয়েক মাস ধরে বিরাট-রোহিতের ফর্ম নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পর রঞ্জি ট্রফিতেও নেমেছিলেন রোহিতরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে সেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত। এ বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে বিরাটের সেঞ্চুরি। রোহিতের হাসিটাই বলে দিচ্ছিল, তিনিও কতটা উচ্ছ্বসিত। বিরাট আরও যোগ করেন, ‘নিজের খেলাটা ভালোই বুঝি। সে কারণে মাঠের বাইরে কী আলোচনা হচ্ছে, কোনওদিনই সেটা নিয়ে মাথা ঘামাই না। বরং নিজের এনার্জিটাকে বাঁচিয়ে রাখি। নিজেকে বোঝাই, ফিল্ডিংয়ে একশো শতাংশ দেব।’ এই জয়ে শুধু নিজের কৃতিত্ব দেখছেন না বিরাট। বোলারদের পারফরম্যান্স, শুভমন-শ্রেয়সের গুরুত্বপূর্ণ অবদান মনে করিয়ে দিলেন।