Brendan Taylor: সাড়ে ৩ বছরের জন্য নির্বাসিত টেলর

টেলর জানান, ২০১৯ সালের অক্টোবরে এক ভারতীয় ব্যবসায়ী তাঁকে এ ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। এবং তখন টেলর ভারতে এসেওছিলেন। ব্রেন্ডন বলেন, জিম্বাবোয়েতে একটি টি-২০ লিগ আয়োজন ও তার স্পনসরশিপ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্যই ওই ব্যবসায়ী তাঁকে ডেকেছিল। এবং খরচ বাবদ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার তাঁকে দেওয়া হয়েছিল।

Brendan Taylor: সাড়ে ৩ বছরের জন্য নির্বাসিত টেলর
ব্রেন্ডন টেলর। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 28, 2022 | 8:23 PM

দুবাই: স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত থাকায় সমস্ত ধরণের ক্রিকেট থেকে সাড়ে তিন বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন জিম্বাবোয়ের (Zimbabwe) প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর (Brendan Taylor)। একই সঙ্গে ডোপ টেস্টে ধরা পড়ায় এক মাস নির্বাসনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হল। তিন বছর আগে এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য অর্থ নেন। সব কিছু খতিয়ে দেখেই টেলরকে সাড়ে ৩ বছরের জন্য সমস্ত ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করল ব্রেন্ডন টেলর। জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন অধিনায়কের বিরুদ্ধে আইসিসি (ICC) অ্যান্টি করাপশন কোডের চারটে ধারা লাগু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই নিজের টুইটারে চার পাতার লম্বা বিবৃতিতে ব্রেন্ডন জানান তিনি কীভাবে ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েছিলেন এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। তিনি টুইটারে লেখেন, “গত দু’বছর ধরে আমি একটা বোঝা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। পরিস্থিতি এমনই যা আমাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে নিয়ে গিয়েছে এবং মানসিক ভাবে এই ব্যাপারটা আমার ওপর অত্যন্ত প্রভাব ফেলেছে। সম্প্রতি আমি গোটা ব্যাপারটা আমার বন্ধু বান্ধব এবং পরিবারকে জানাই এবং তাদের ভালবাসা ও সমর্থনে আজ সকলকে এই ঘটনাটা জানাতে চাই।”

এরপরই টেলর জানান, ২০১৯ সালের অক্টোবরে এক ভারতীয় ব্যবসায়ী তাঁকে এ ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। এবং তখন টেলর ভারতে এসেওছিলেন। ব্রেন্ডন বলেন, জিম্বাবোয়েতে একটি টি-২০ লিগ আয়োজন ও তার স্পনসরশিপ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্যই ওই ব্যবসায়ী তাঁকে ডেকেছিল। এবং খরচ বাবদ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার তাঁকে দেওয়া হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, সেই সময় প্রায় ছ’মাস ধরে জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে বেতন পাননি। ফলে ওই ব্যবসায়ীর প্রস্তাবে ভারতে এসেছিলেন। এবং ওই সময় হোটেলে একটি ডিনারও আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে পানীয়র পাশাপাশি তাঁকে মাদক নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি বোকার মতো সেই সময় মাদক নেন। সুযোগ বুঝে ওই ব্যবসায়ী সেই সময় তাঁর মাদক নেওয়ার ভিডিও করে রাখেন। এবং পরবর্তীকালে তাঁকে সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলও করা হয়। তিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাদের জন্য স্পট ফিক্সিং না করলে ওই ভিডিও ফাঁস করার হুমকিও দেওয়া হয়।

পুরো ঘটনার জন্য রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন ব্রেন্ডন। এবং তিনি জানান, এই ঘটনার পর তিনি দীর্ঘদিন মানসিক সমস্যাতেও ভুগেছেন। তাঁকে কড়া ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি রিহ্যাবেও যেতে হয়। তবে তিনি ওই বিবৃতিতে এও জানান, বুকিদের থেকে প্রস্তাব পেলেও তিনি কোনও ম্যাচেই ফিক্সিং করেননি। এবং তাঁর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, এমন ঘটনা থেকে অন্যদের সতর্ক করার জন্য তিনি পুরো ব্যাপারটি জনসমক্ষে আনলেন। এমনটাও দাবি করেন ব্রেন্ডন। ২৮ জুলাই ২০২৫ সাল পর্যন্ত সমস্ত ধরণের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত থাকবেন টেলর।

আরও পড়ুন: IPL 2022: আইপিএলের শেষ পর্বে নাও খেলতে পারেন বেয়ারস্টো-মইনরা