শাদমান ইসলাম ও নাজমুল হাসান শান্ত জুটি ক্রিজে থাকায় বাংলাদেশ মিরাকলের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু জাডেজার স্পেলের প্রথম তিন ওভার সব এলোমেলো করে দেয়। এরপর টিকে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ে। একলা লড়াইয়ের মরিয়া চেষ্টা মুশফিকুর রহিমের। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম সুইপ-অস্ত্র ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। কিছুটা রানও আসে। রিভার্স সুইপও খেলেন মুশফিকুর। কিন্তু উল্টোদিকে তাইজুল ইসলাম থাকায় বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়া যেন সময়ের অপেক্ষা ছিল। বুমরার শিকার হন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশ রিভিউ নেয়। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। ৯ উইকেট পড়ায় লাঞ্চ পিছিয়ে দেওয়া হয়।
ভারতের টার্গেট কত হবে, নির্ভর করছিল একটা উইকেটের উপর। খালেদ আহমেদ শেষ উইকেট হিসেবে ক্রিজে আসেন। মুশফিকুর স্ট্রাইকে না এলে ভারতের টার্গেট ৭৯-ই থাকবে, এটা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। সেই সুইপের লোভেই আউট হওয়া থেকে রিভিউ নিয়ে রক্ষা পান মুশফিকুর। ৪২তম ওভারের চতুর্থ বলে সিঙ্গল নেন। লিড বাড়ে ১। একটা ডেলিভারি সামলে দেন খালেদ। পরের ওভারে বুমরার জায়গায় অশ্বিনকে আক্রমণে আনেন রোহিত। দুই প্রান্ত থেকেই স্পিন।
মুশফিকুরের পরিকল্পনা কাজে দিয়েছিল দীর্ঘ সময়। বাউন্ডারিতে রান তোলার চেষ্টা করেছেন। ওভারের শেষ দিকে সিঙ্গল নিয়ে নিজের কাছে স্ট্রাইক রাখার চেষ্টা। লাঞ্চের আগের শেষ মুহূর্তে বুমরাকে আক্রমণে আনেন রোহিত। অভিজ্ঞ মেহেদি হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে দায়িত্ব পালন করেন বুমরাও। তবে জাডেজার স্পেল যেন অবিশ্বাস্য। এই ম্যাচে বৃষ্টিতে দু-দিন নষ্ট হওয়ায় সেশন টাইমিংও পরিবর্তন হয়েছে। যা আরও অস্বস্তি বাড়ায় বাংলাদেশ শিবিরে।
শেষ উইকেট জুটি হওয়ায় সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখছিলেন মুশফিকুর। এক্সটেন্ডেড লাঞ্চের শেষ ওভারে পারলেন না। খালেদ স্ট্রাইকে, বুমরাকে আক্রমণে আনেন রোহিত। শেষ বলে স্ট্রাইক পান মুশফিকুর রহিম। মনে করা হয়েছিল লাঞ্চ অবধি টিকিয়ে রাখবেন ইনিংস। কিন্তু এক্সটেন্ডেড লাঞ্চের আগের শেষ ডেলিভারিতে মুশফিকুরকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ ইনিংসে ইতি টানেন বুমরা। মুশফিকুর ৩৭ রানে ফেরেন। ভারতের লক্ষ্য ৯৫ রান।