
ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে তিনটি দিক খোলা, এমনটা বলা যায় না। তবে অন্য ভাবে তিনটি দিক বলা যায়। এখান থেকে ভারতের জয়ের সম্ভাবনা নেই বলাই যায়। ইনিংস হার কিংবা ইনিংস হার আটকানো দুই-ই সম্ভব। আর দুর্দান্ত পারফর্ম করলে খুব বড়জোর ড্র। সেই সম্ভাবনা অবশ্য ক্ষীণ। কারণ হাতে এখনও একটা দিন। প্রথম ইনিংসে ভারতের ৩৫৮ রানের জবাবে ৬৬৯ রানের পাহাড়প্রমাণ স্কোর ইংল্যান্ডের। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগেই পরপর দু-বলে দুই উইকেট হারায় ভারত। ক্যাপ্টেন শুভমন গিল ও লোকেশ রাহুল ভরসা দিলেও আতঙ্ক পুরোপুরি কাটেনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ১৭৪ রান তুলেছে ভারত। এখনও ১৩৭ রানে পিছিয়ে। পঞ্চম দিন প্রাথমিক টার্গেট অন্তত ১৩৮ রান তুলে ইনিংস হার বাঁচানো। ক্রিজে দুই ব্যাটার সেট থাকায় মনে হতেই পারে, এ আর কঠিন কী! তবে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো মাঠে কোনও ব্য়াটারকেই সেট বলা যায় না। প্রতিটা ডেলিভারিই নতুন চ্যালেঞ্জ। এক বলেই খেলা ঘুরে যেতে পারে। না হলে লর্ডসে কেউ ভেবেছিল, ভারত ১৯৩ রান তাড়া করতে পারবে না?
লর্ডস টেস্টে ব্যাটিংয়ে চূড়ান্ত হতাশায় কেটেছিল ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের। ম্যাঞ্চেস্টারেও প্রথম ইনিংসে রান পাননি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ালেন। ১৬৭ বলে ৭৮ রানে ক্রিজে রয়েছেন শুভমন গিল। সঙ্গে রেকর্ডও গড়েছেন। ভারত অধিনায়কদের মধ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক সিরিজে সর্বাধিক ৬৫৫ রানের রেকর্ড ছিল বিরাট কোহলির। এই সিরিজে ইতিমধ্যেই ৬৯৭ রান করে ফেলেছেন শুভমন গিল। সব কিছু ঠিক থাকলে পঞ্চম দিন আরও একটা সেঞ্চুরির অপেক্ষা। অন্যদিকে, লোকেশ রাহুল ২১০ বলে ৮৭ রানে ক্রিজে। ফলে জোড়া সেঞ্চুরির প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। আর সেটা হলে হয়তো ড্রয়ের প্রত্যাশাও করা যায়।