
লিডস টেস্টে অ্যাডভান্টেজে ভারত। তবে মিডল অর্ডারের পরের ব্যাটিং যেন অস্বস্তিতে রাখল। ম্যাচের প্রথম দিনই সাড়ে তিনশো পেরিয়ে গিয়েছিল ভারত। ক্যাপ্টেন শুভমন গিল ও ভাইস ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থের অবিচ্ছিন্ন জুটি দ্বিতীয় দিন শুরু করে ভারতীয় দল। প্রথম ইনিংসে ৫০০ প্লাস স্কোর হবে এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু ৪৭১ রানেই অলআউট ভারত। সবচেয়ে হতাশার, শেষ ৭ উইকেট পড়ল মাত্র ৪১ রানেই! ইনিংসে যদিও তিনটি সেঞ্চুরি।
লিডসে ফিরল ২৩ বছর আগের স্মৃতি। ২০০২ সালে লিডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড় এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এই টেস্টে সেঞ্চুরি যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল এবং ঋষভ পন্থের। দলীয় ৪৩০ রানে চতুর্থ উইকেট হিসেবে আউট হন ক্যাপ্টেন শুভমন গিল। তখনও ব্যাটিংয়ে অনেক বিকল্প। এরপরও ৫০০ পেরোতে না পারা অস্বস্তির।
দীর্ঘ ৮ বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হয়েছে করুণ নায়ারের। গত বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ভারত এ দলের হয়ে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরিও করেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর প্রত্যাবর্তনে বাড়তি নজর ছিল। দুর্দান্ত সুযোগ ছিল তা কাজে লাগানোর। কিন্তু তিনটি ডট বলেই যে চাপে পড়ে যাবেন, এ যেন কেউ প্রত্যাশা করেননি। চতুর্থ ডেলিভারিতে কভার ড্রাইভ নীচু রাখতে পারেননি। দুর্দান্ত ক্যাচে তাঁকে ফেরান ওলি পোপ।
করুণ আউট হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেরেন ভাইস ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থ। লোয়ার অর্ডারে রবীন্দ্র জাডেজা (১১), ইন্ট্রা স্কোয়াড ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো শার্দূল ঠাকুর (১) ভরসা দিতে পারেননি। শেষ অবধি ৪৭১ রানেই শেষ ভারতের ইনিংস। ইংল্যান্ড ব্যাটিং শুরু হওয়ার সময়ই বৃষ্টি নামায় অপেক্ষা করতে হয়।