ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে-তে ৪ উইকেটে জিতেছিল ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে। কটকে দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে অবশ্য ভারতের সামনে বিশাল টার্গেট। শেষ অবধি যদিও পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি ইংল্য়ান্ড। এক বল বাকি থাকতে ৩০৪ রানেই অলআউট। ইংল্য়ান্ডের শুরুটা দুর্দান্ত হলেও ভারত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। ইংল্যান্ডকে ৩০০ পেরোতে দেওয়াটা যেন ভারতের ব্যর্থতা। কটকের কড়া রোদেও চাপে পড়ল ভারত। আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে ভারতকে ৩০৫ রানের বিশাল টার্গেট ছুঁতে হবে।
টস জিতে এ দিনও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্য়ান্ড অধিনায়ক। ভারতের একাদশে জোড়া পরিবর্তন। ওয়ান ডে অভিষেক হল মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর। তেমনই চোট সারিয়ে ফিরলেন বিরাট কোহলি। বাঁ হাতি স্পিনার কুলদীপ যাদবকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। বিরাটের জন্য জায়গা ছাড়তে হয় যশস্বী জয়সওয়ালকে। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট শুরুটা দুর্দান্ত করেন। ৮১ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা বরুণ চক্রবর্তী। ওডিআই ডেবিউ ক্যাপ পেয়েছিলেন রবীন্দ্র জাডেজার থেকে। তাঁর ক্যাচেই উইকেট বরুণের।
ভারতের ফিল্ডিং নিয়ে যেমন প্রশংসার জায়গা রয়েছে, তেমনই সমালোচনারও। শুভমন গিল, জাডেজা দুর্দান্ত দুটি ক্য়াচ নিয়েছেন। তেমনই একাধিক ক্যাচও মিস হয়েছে। গ্রাউন্ড ফিল্ডিং এবং ওভার থ্রো-য়ে অস্বস্তি বাড়িয়েছে। প্রচণ্ড রোদের জন্যও ফিল্ডিংয়ে বল জাজ করতে সমস্যায় পড়েছেন ভারতের ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ড ইনিংসে নজর কেড়েছেন জো রুট (৬৯), লিয়াম লিভিংস্টোন (৪১)। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রবীন্দ্র জাডেজা। প্রথম ওয়ান ডে-র মতো এই ম্যাচেও তিন উইকেট নিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। অভিষেকে ১ উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর।
ভারতীয় ব্যাটারদের কাছে অবশ্য কঠিন চ্য়ালেঞ্জ হতে চলেছে। ৩০৫ রানের টার্গেট নেহাৎ কম নয়। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির দিকে বাড়তি নজর। রোহিত প্রথম ম্যাচে রান পাননি। বিরাট এই সিরিজে প্রথম খেলছেন। চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফির আগে রো-কো জুটির ফর্মে ফেরার প্রত্যাশা।