চেন্নাই: জমে উঠেছে ওডিআই বিশ্বকাপ (ICC ODI World Cup 2023)। চিপকে আজ মুখোমুখি হয়েছিল রোহিত শর্মার ভারত (India) ও প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া (Australia)। টস ভাগ্য রোহিতের সঙ্গ দেয়নি। তাতে অবশ্য ম্যাচ জেতা আটকাল না। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯৯ রান তোলে অজিরা। ২০০-র টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতে পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। এরপর ম্যাচের হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। ৮৫ রানের দুরন্ত ইনিংস উপহার দেন বিরাট। ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল। বিরাট-রাহুলের ১৬৫ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপই ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। বিরাট আউট হওয়ার পর রাহুলকে সঙ্গে দিতে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল ভারত। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার এই ম্যাচের লাইভ আপডেট পাবেন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে জয় ভারতের।
পড়ুন ম্যাচ রিপোর্ট বিস্তারিত – স্নায়ুর চাপ! রাহুল-বিরাট ভরসায় ‘চেন্নাইয়ে’ শাপমুক্তি ভারতের
জয়ের দিকে এগোচ্ছে ভারত। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ওভারে পরপর ছয় ও চার মেরে ৯০এ পৌঁছে গিয়েছেন রাহুল। পাশাপাশি জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ৭ রান।
জশ হ্যাজলউডের শর্ট বল। কোহলির পুল শট। কিন্তু শর্ট মিড উইকেটে মার্নাস লাবুশেনের হাতে ক্যাচ। ৮৫ রানে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন কোহলি। পুরো স্টেডিয়াম এই ইনিংসের জন্য কোহলিকে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে। রাহুলের সঙ্গে ২১৫ বলে ১৬৫ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়েছিলেন বিরাট। ক্রিজে নতুন ব্যাটার হার্দিক পান্ডিয়া।
৩৪তম ওভারের চতুর্থ বল। শর্টপিচ ডেলিভারি। পুল শট খেলার চেষ্টা কোহলির। মিচেল স্টার্কের বাউন্সার আছড়ে পড়ে বিরাটের হেলমেটে। দ্রুত তাঁর কনকাশন টেস্ট হয়। ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত। তাঁর হেলমেট বদল করা হয়। হেলমেটে লাগার পরের বলেই বিরাটের স্কোয়ার ড্রাইভে অনবদ্য বাউন্ডারি।
ভারতের জয়ের জন্য বাকি ২০ ওভারে তুলতে হবে ৮০ রান। ক্রিজে বিরাট (৬০*) ও রাহুল (৫৪*)।
পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল ভারত। সেই চাপ থেকে ভারতকে দিশা দেখায় বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের জুটি। দেখতে দেখতে জমে ওঠে এই পার্টনারশিপ। দল যখন চাপের মুখে, সেই সময় ফের জ্বলে উঠল কিং কোহলির ব্যাট। ৭৫ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ হল বিরাটের। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। টিম ইন্ডিয়ার ওপেনিং ম্যাচে সেঞ্চুরি ছিল বিরাটের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আজও বিরাটের ব্যাটেই ভরসা পেল ভারত।
বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল এই জুটির উপর ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের নজর আটকে রয়েছে। দেখতে দেখতে এই জুটির ৫০ রানের পার্টনারশিপ পূর্ণ।
মাঠে নেমেই ভরাডুবি। একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। রোহিতের পরে আউট শ্রেয়স আইয়ার।
শুরুতেই পর-পর উইকেট পতন ভারতের। এ বার আউট হলেন রোহিত শর্মা। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ওডিআই বিশ্বকাপ তাঁর। কিন্তু শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়লেন তিনি।
বিশ্বকাপ অভিষেক সুখকর হল না কিষাণের। রানের খাতা না খুলেই ফিরতে হল প্যাভেলিয়নে। ক্রিজে রোহিত-কোহলি জুটি।
ভারতের পরীক্ষা শুরু। ক্রিজে রোহিত ও ঈশান জুটি।
রোহিতদের ২০০ রানের লক্ষ্য় দিয়ে শেষ হল প্রথম ইনিংস। ৪৯.৩ ওভারে ১৯৯ রান করে অল আউট অজিরা।
ফের উইকেট! এ বার অ্যাডাম জাম্পাকে ফেরালেন কোহলি।
১০ ওভারে দুই মেডেন সহ ২৮ রানে ২ উইকেট দিয়ে শেষ হল জাডেজার স্পেল।
কামিন্সের উইকেট তুলে নিলেন শ্রেয়স। অধিনায়কের ঝুলিতে মাত্র ১৫ রান।
প্রথম স্পেলে রান আটকে অস্ট্রেলিয়ার চাপ বাড়িয়ে ছিলেন। নতুন স্পেলে উইকেটও নিলেন অশ্বিন। ক্যামেরন গ্রিনকে ফিরিয়ে অজিদের বড় রানের প্রত্যাশায় জোরালো ধাক্কা অশ্বিনের।
পিচ এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী অজি শিবিরের সবচেয়ে বড় ভরসা ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। স্পিনের বিরুদ্ধে বরাবরই সফল। ওয়ান ডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট। লেগ স্টাম্প ছিটকে ভারতে যেন সেরা উইকেট এনে দিলেন যাদব।
অজিদের বিরুদ্ধে একাই কামাল জাডেজার। ১ রানের ব্যবধানে তুলে নিলেন ২ উইকেট। এবার ঘরে ফেরালেন অ্যালেক্স ক্যারিকে। ক্রিজে ক্যামেরন গ্রিন ও ম্য়াক্সওয়েল।
পর পর উইকেট জাডেজার। লাবুশেনকে প্যাভেলিয়নে ফেরালেন জাড্ডু।
স্মিথকে ফেরালেন জাডেজা। ক্রিজে দুই বাঁ-হাতি ব্যাটার ছিলেন। এই জুটি ভাঙার পরিকল্পনাতেই জাডেজাকে বোলিংয়ে আনা হয়। অবশেষে লক্ষ্য পূরণ জাড্ডুর। এ বার ক্রিজে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। স্পিনের বিরুদ্ধে ভালো খেলেন তিনি।
২০ ওভার শেষে স্মিথদের ঝুলিতে ৮৫ রান। উইকেট হারিয়েছে ২ টি।
ক্রিজে দুই ডান হাতি ব্যাটার। বল টার্ন হচ্ছে। জাডেজাকে এনে চাপ বাড়ানার চেষ্টা রোহিতদের।
৪১ রান করে মাঠ ছাড়লেন ডেভিড ওয়ার্নার। এ বছর ওয়ান ডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই নিয়ে বছরের ৩৪তম উইকেট।
অজিদের বিরুদ্ধে মাঠে ভারতের দুই সেরা স্পিনার, কুলদীপ ও অশ্বিন।
শেষ হল প্রথম পাওয়ার প্লে। ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান করেছে অজিরা।
৫ ওভার শেষে কামিন্সদের ঝুলিতে ১৬ রান। উইকেট হারিয়েছে ১ টি।
৩ ওভার শেষে অজিদের ঝুলিতে ৬ রান। মাঠে নেমেই ফিরে যান মার্শ।
বুমরার বলে আউট মার্শ। তাঁকে মাঠ ছাড়া করলেন কোহলি। ক্রিজে ওয়ার্নার ও স্মিথ।
অজিদের ইনিংস শুরু। ওপেনিংয়ে নামলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। বোলিংয়ে সূচনায় জসপ্রীত বুমরা।
ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটকিপার), ক্যামেরন গ্রিন, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড।
রোহিত শর্মা, ঈশান কিষাণ, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাডেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজ।
টস জিতে আগে ব্যাট হাতে নামার সিদ্ধান্ত নিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘২০১১ বিশ্বকাপের যুবরাজ সিং হয়ে উঠবেন হার্দিক’ মহম্মদ কাইফ