
জয় দিয়েই ইংল্যান্ড সিরিজ শুরু ভারতের। নাগপুরে প্রথম ওয়ান ডে-তে ৪ উইকেটে জিতল ভারত। যদিও ব্যাটিং পারফরম্যান্স কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রাখল। জয়ের দোড়গোড়ায় পরপর উইকেট হারানো একেবারেই স্বস্তির নয়। তেমনই ওয়ান ডে অভিষেক স্মরণীয় হল না বাঁ হাতি ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালের। আরও বড় চিন্তা ক্যাপ্টেনের ফর্ম। শ্রীলঙ্কায় গত ওয়ান ডে সিরিজই হোক বা সদ্য সমাপ্ত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। এমনকি রঞ্জিতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। রোহিতের ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হল ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়েই।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্য়ান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। তাদের শুরুটা ভালো হলেও একটা রানআউটের পরই খেই হারিয়েছিল। শেষ অবধি ২৪৮ রানেই অলআউট ইংল্য়ান্ড। চোটের কারণে এই ম্যাচে পাওয়া যায়নি বিরাট কোহলিকে। ওয়ান ডে অভিষেক হল যশস্বীর। তাঁর ঝুলিতে মাত্র ১৫ রান। ক্যাপ্টেন রোহিত ফেরেন ২ রানেই। বোলাররা নিজেদের কাজ করে দিয়েছিলেন। ব্যাটিংয়েও দুর্দান্ত শুভমন, শ্রেয়স আইয়ার।
অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস শুভমন গিলের। সে সময় দলের প্রয়োজন ১৮ রান। শুভমনের সেঞ্চুরিতে চাই ১৭। বাউন্ডারি মারতেই গ্য়ালারিতে গর্জন। সকলেই চাইছিলেন, এত কাছে এসে সেঞ্চুরিটা যাতে মিস না হয়। কিন্তু পরের ডেলিভারিতে মিড অনের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে হাতে ক্য়াচ দিয়ে ফেরেন শুভমন গিল। নিজের জন্য়ই সেঞ্চুরিটা হল না ভাইস ক্য়াপ্টেনের। সকলের মধ্যেই অস্বস্তি। নিজেও মাঠ ছাড়ার সময় বারবার জায়ান্ট স্ক্রিনে রিপ্লে দেখছিলেন শুভমন গিল।
ভারতীয় ইনিংসে নজর কাড়লেন শ্রেয়স আইয়ার। বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন। মাত্র ৩৬ বলে ৫৯ রান করেন। হাফসেঞ্চুরি করেন অক্ষর প্যাটেলও। শুভমনের অবদান ৯৬ বলে ৮৭। তাঁর ইনিংসে ১৪টি বাউন্ডারি। কিন্তু ২২১-৩ স্কোর থেকে ২৩৫-৬। এই টুকু সময়ের মধ্যে পরপর উইকেট হারানোয় অস্বস্তি ছিল। অবশেষে ৩৮.৪ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছয় ভারত।