টেস্ট ক্রিকেটে ঘরের মাঠে সবচেয়ে বড় লজ্জার ইতিহাস গড়েছে ভারত। দেশের মাটিতে নানা অবাঞ্ছিত রেকর্ডও হয়েছে। তেমনই একটা সবচেয়ে কম রানের পুঁজি নিয়ে জয়। ছোট্ট টার্গেট তাড়া করতে নেমে চূড়ান্ত ফ্লপ ভারতের তারকা সমৃদ্ধ টপ অর্ডার। মিডল ও লোয়ার অর্ডার কিছুটা চেষ্টা চালিয়েছিলেন। শেষ রক্ষা হয়নি। প্রথম ইনিংসে ২৮ রানের লিড নেওয়ায় যে স্বস্তি ছিল, ২৫ রানে হারের পর বদলে গিয়েছে হতাশায়। এর চেয়েও বড় অস্বস্তি নিউজিল্যান্ডের কাছে ক্লিনসুইপ! ২ ম্যাচের বেশি টেস্ট সিরিজে দেশে কখনও ক্লিনসুইপ হয়নি ভারত। ২ ম্যাচের সিরিজেও মাত্র একবারই ঘরের মাঠে ০-২ হেরেছিল। এ বার তিন ম্যাচের সিরিজে ০-৩ হার ভারতের।
মুম্বই টেস্টে নামার আগেই সিরিজ হেরেছিল ভারত। দীর্ঘ এক যুগের ব্যবধানে ঘরের মাঠে প্রথম সিরিজ হার। তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে সঠিক ট্র্যাকে থাকতে ওয়াংখেড়েতে জিততেই হত। মর্যাদার ম্যাচে আরও স্পিনসহায়ক পিচ করা হয়। লক্ষ্য ছিল এই ম্যাচ জিতে সামান্য স্বস্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দেওয়া। ওয়াংখেড়েতে স্পিনাররা প্রত্যাশিত ভাবেই ভালো পারফর্ম করেন। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ২৩৫ রানেই অলআউট করে ভারত। ২৮ রানের লিডের পর দ্বিতীয় ইনিংসে কিউয়িদের ১৭৪ রানেই গুটিয়ে দেয় ভারতীয় বোলিং। রোহিতদের টার্গেট দাঁড়ায় ১৪৭ রান। এরপরও মহাকাব্যিক জয় নিউজিল্যান্ডের। ভারতের মাটিতে ছোট্ট রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ভারতের মাটিতে সবচেয়ে কম ১০৭ রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের রেকর্ড রয়েছে ভারতের দখলেই। ২০০৪ সালে ওয়াংখেড়েতেই সেই রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১০৭ রান ডিফেন্ড করেছিল ভারত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ড সেই ওয়াংখেড়েতেই ১৪৬ রান ডিফেন্ড করে জিতেছে ভারতের বিরুদ্ধে। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান ভারতেরই। ১৯৯৬ সালে আমেদাবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৭০ রান এবং ১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮৮ রান ডিফেন্ড করে জিতেছিল ভারত।