
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দু-ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু। আমেদাবাদে ম্যাচের প্রথম দিনই চালকের আসনে ভারত। মহম্মদ সিরাজের দাপট, জসপ্রীত বুমরার মাইলফলকের পর লোকেশ রাহুলের হাফসেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে বড় স্কোয়ারের পথে ভারতীয় দল। যা পরিস্থিতি, প্রথম ইনিংসে ৪০০ পেরোলে ইনিংসে জয়েরও সম্ভাবনা প্রবল ভারতের। সেই দিকেই এগোচ্ছেন শুভমন গিলরা। দুই পেসারের পাশাপাশি প্রাপ্তি কুলদীপের যাদবের বোলিংও। একাদশ কী হবে, এই নিয়ে ভাবনা ছিল বোলিং কম্বিনেশন। নীতীশ রেড্ডি ফেরায় দুই স্পেশালিস্ট পেসার খেলান গৌতম গম্ভীর-শুভমন গিল। তিন স্পিনার হিসেবে রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে ওয়াশিংটন সুন্দর ও কুলদীপ যাদব। ভারতের কাজ যেন সহজ করে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজই।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্যাপ্টেন রস্টন চেজ। নতুন বলে ধৈর্যের পাশাপাশি টেকনিকও প্রয়োজন। কিন্তু জসপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজের সামনে সেই টেকনিক যথেষ্ট নয়। জসপ্রীত বুমরা চাপ তৈরি করেন বেশি। আর উল্টোদিক থেকে সাফল্য পান মহম্মদ সিরাজ। শুধু নতুন বলই নয়, পুরনো বলেও একইরকম দাপট। মাঝে স্পিনারদের অবদান। সিরাজের আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ৪২ রানেই চার উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্য়ে তিনটি সিরাজের শিকার, বুমরা নেন একটি। স্পিনার কুলদীপ যাদব দুটি উইকেট নেন। ১ উইকেট ওয়াশিংটন সুন্দরের।
ঘরের মাঠে টেস্ট উইকেটের হাফসেঞ্চুরি জসপ্রীত বুমরার। দেশের মাটিতে হোক আর বিদেশ। বুমরার কাছে পিচ গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেন বুমরা। বুমরা চার। শেষ অবধি মাত্র ১৬২ রানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করে ভারত। ব্যাটিংয়ে ভারতের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। বরং বলা যায়, সুযোগ হাতছাড়া যশস্বী জয়সওয়ালের। বিধ্বংসী ব্যাটিং করছিলেন। ৩৬ রানে কট বিহাইন্ড।
আর এক ওপেনার লোকেশ রাহুল অবশ্য় দুরন্ত ছন্দে। সদ্য অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে দেড়শো প্লাস করেছিলেন। সেই ছন্দ বজায়। ধৈর্যশীল এবং ক্লাস ইনিংস। প্রথম দিনই হাফসেঞ্চুরি পার। যে ছন্দে খেলছেন, তাতে আরও একটা সেঞ্চুরি না হলেই অবাক হতে হবে। তিনে নামা সাই সুদর্শন হতাশ করেন। রাহুলের সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন ক্যাপ্টেন শুভমন গিল (১৮)। প্রথম দিন ২ উইকেটে ১২১ রান তুলে নিয়েছে ভারত।