IND W vs AUS W: টসই ভাগ্য গড়ে দিল! বোলারদের মরিয়া লড়াইয়েও হার

India vs Australia 2nd T20I: টি-টোয়েন্টিতে রিচার মতো পাওয়ার হিটার কতটা জরুরি, ভারতীয় শিবির সেটা ভালো ভাবেই জানে। দুর্দান্ত ছন্দে ব্যাট করছিলেন। জর্জিয়া ওয়ারহ্যামের একটি ডেলিভারি মিস করেন। প্যাডে বল লাগে। বোলার কনফিডেন্ট ছিলেন না। তাঁর মনে হয়েছিল, বল লেগ স্টাম্প মিস করবে। কিপার অ্যালিসা হিলিই ক্যাপ্টেন। তাঁর আশা ছিল আউট হতে পারে। বোলারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে ডিআরএস নেন অ্যালিসা। রিচার উইকেট পায় অস্ট্রেলিয়া।

IND W vs AUS W: টসই ভাগ্য গড়ে দিল! বোলারদের মরিয়া লড়াইয়েও হার
Image Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: Jan 07, 2024 | 10:32 PM

মুম্বই: তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া। মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে টসই যেন ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিচ্ছে। প্রথম ম্যাচে টস জিতে রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতল অস্ট্রেলিয়া। বাকি সব প্রায় এক। পার্থক্য বলতে, অজিদের সামনে আরও ছোট টার্গেট ছিল। এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে অজিরা। সিরিজ আপাতত ১-১। মঙ্গলবার শেষ টি-টোয়েন্টিই সিরিজ নির্ণায়ক। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে প্রায় ৪৩ হাজার দর্শক। একে বারে আদর্শ মঞ্চ। টস হারটাই ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। অপরিবর্তিত একাদশ নামানোর সিদ্ধান্ত ভারত অধিনায়ক অজি দলে একটিই পরিবর্তন। ডার্সি ব্রাউনের জায়গায় কিম গার্থ। প্রথমে ব্যাটিং করতে হওয়াটাই চাপের হয়ে দাঁড়ায় ভারতের কাছে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শেফালিকে ফেরান কিম গার্থ। আর এক ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা কিছুটা লড়াই করেন। ভারতীয় শিবিরে বড় ধাক্কা লাগে রিচা ঘোষের আউটে।

টি-টোয়েন্টিতে রিচার মতো পাওয়ার হিটার কতটা জরুরি, ভারতীয় শিবির সেটা ভালো ভাবেই জানে। দুর্দান্ত ছন্দে ব্যাট করছিলেন। জর্জিয়া ওয়ারহ্যামের একটি ডেলিভারি মিস করেন। প্যাডে বল লাগে। বোলার কনফিডেন্ট ছিলেন না। তাঁর মনে হয়েছিল, বল লেগ স্টাম্প মিস করবে। কিপার অ্যালিসা হিলিই ক্যাপ্টেন। তাঁর আশা ছিল আউট হতে পারে। বোলারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে ডিআরএস নেন অ্যালিসা। রিচার উইকেট পায় অস্ট্রেলিয়া। দীপ্তি শর্মার ৩০ রানের সৌজন্যে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে ভারত।

গত ম্যাচে ১৪২ রান তাড়া করেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার জন্য লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩১ রান। পাওয়ার প্লে-তে স্পেলের প্রথম ওভারে ১২ রান দেন পেসার তিতাস সাধু। গত ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছিলেন। শুরুটা ভালো হয়নি এই ম্যাচে। অজি ব্যাটাররা যাতে হাত খুলে মারতে না পারেন, শ্রেয়াঙ্কা পাটিলকে আনা হয়। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আক্রমণে ফের তিতাস। দেন মাত্র ৪ রান। এরপরের ওভারে ৭ রান। এই দুই ওভারে চাপ তৈরি হয়। উল্টোদিকে পরপর উইকেট দেন বাংলার স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

অল্প রান নিয়েও বোলাররা মরিয়া লড়াই করে। যদিও কিছু ফিল্ডিং মিস ভারতকে পাল্টা চাপে ফেলে। শেষ তিন ওভারে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯। শিশিরের কারণে এই লক্ষ্য খুবই কম। ক্রিজে এলিস পেরি ও ফোয়েবে লিচফিল্ড। ১৮তম ওভারে মাত্র ৪ রান দেন পূজা বস্ত্রকার। শেষ দু ওভারে ১৫ রান প্রয়োজন ছিল অজিদের। গুরুত্বপূর্ণ ১৯তম ওভারে স্পিনার শ্রেয়াঙ্কাকে বোলিংয়ে আনেন হরমনপ্রীত। তিতাসের ওভার থাকা সত্ত্বেও কেন স্পিনার!

প্রথম তিন বলের মধ্যে দুটি ফুলটস। প্রথম তিন-বলেই ১০ রান নেয় অজিরা। এই ওভারের শেষ বলে ৬ মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন এলিস পেরি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে ৩০০তম ম্যাচে নেমেছিলেন অজি অলরাউন্ডার এলিস পেরি। মাইলফলকের ম্যাচে জয়ের শট তাঁর ব্যাটেই।