
আবেগ…। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও থাকে। কিন্তু প্রকাশ করেন কি সকলে? হয়তো না। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গত মরসুমে তিক্ত অভিজ্ঞতা। নানা জল্পনা। ঘরের ছেলে আবারও ফিরবেন? প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছিল বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। শুধু ফেরানোই নয়, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্যাপ্টেন হিসেবে তাঁকে ফেরানোর দাবি উঠেছিল। মেগা অকশনের পর আরসিবি সমর্থকদের স্বপ্নভঙ্গ। আজ এই মাঠেই খেলবেন, তবে অন্য জার্সিতে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলার সৌজন্যে এই শহরের ছেলে হয়ে উঠেছেন বিরাট কোহলি। দিল্লির ছেলে, থাকেন মুম্বইতে। কিন্তু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সময়টা বেঙ্গালুরু মেতে থাকে কিং কোহলির আবেশে। তাঁর পারফরম্যান্স ভালো হলে উচ্ছ্বাস, খারাপ হলে একসঙ্গে হতাশা। ক্রিকেটারদের চেয়ে আবেগটা কয়েকগুণ বেশি সমর্থকদেরও। কিন্তু চিন্নাস্বামীতে দিল্লি ম্যাচ যেন সমর্থকদের কাছে ধর্মসঙ্কট। কাকে বেশি ভালো বাসবেন সমর্থকরা? ভালোবাসারও আবার মাপকাঠি হয় নাকি! গ্য়ালারির দৃষ্টিকোনে ভাবলে, যাঁর জন্য যত বেশি উন্মাদনা!
বিরাট যদি বাইরে থেকে এসে ঘরের ছেলে হয়ে ওঠেন, তা হলে লোকেশ রাহুল? তাঁর তো এটাই শহর। জন্ম থেকে ক্রিকেটে বেড়ে ওঠা। সব এই শহরেই। আইপিএল কেরিয়ারও শুরু হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতেই। সেটা ২০১৩ সাল। সে সময় ‘তরুণ’ ক্রিকেটার রাহুল মাত্র ৫টি ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছিলেন। ক্রিকেটের এত বড় মঞ্চে স্নায়ুর চাপও ছিল। এরপর যোগ দেন, সানরাইজার্সে। ২০১৬-তে আরসিবিতে প্রত্যাবর্তন। মাত্র এক মরসুমের জন্যই।
আইপিএল কেরিয়ারের দীর্ঘ সময় কেটেছে পঞ্জাব কিংসে। ২০২২ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নতুন দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি আসে। তার একটি লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথম দু-মরসুম ভালো কাটলেও, গত মরসুমে তিক্ত অভিজ্ঞতা। রাহুল যে লখনউ ছাড়বেন নিশ্চিতই ছিল। তেমনই সম্ভাবনা ছিল আরসিবিতে ফেরারও। তা অবশ্য হয়নি। এবার মেগা অকশনে তাঁকে নিয়েছে দিল্লি ক্য়াপিটালস। নতুন জার্সিতে চিন্নাস্বামীতে নামবেন। তাঁর সত্যিকারের ঘরের মাঠে। রাহুল…নাম তো সুনা হি হোগা? আরসিবি বোলারদের কাছে প্রধান বাধা কিন্তু লোকেশ রাহুলই।