
ছোট্টবেলায় ইডেনে এসেছিলেন কোলে চেপে। গ্যালারি থেকে দেখেছিলেন ম্যাচ। কিন্তু বোঝার মতো বয়স তখন ছিল কি না, তাতেও সন্দেহ। সেই বৈভব সূর্যবংশী রবিবার ইডেনে ম্যাচ খেলতে নামবেন। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেল। প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে এই ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর কেকেআরের কাছে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন মাত্র ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশীই।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মেগা অকশনে ঝড় তুলেছিলেন সে সময় ১৩ বছরের বৈভব। বিহারের এই বাঁ হাতি ব্যাটারকে নিতে একাধিক টিম ঝাঁপিয়েছিল। শেষ অবধি ১.১ কোটিতে তাঁকে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। মরসুমের শুরু থেকে টিমের সঙ্গে প্র্যাক্টিস করছিলেন। তাঁকে এই মরসুমেই খেলানো হবে, এর নিশ্চয়তা ছিল না। প্রথমদিকে বেঞ্চেই কাটাতে হয়েছিল। অবশেষে ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে সুযোগ।
ভারতীয় ক্রিকেটের পাশাপাশি বিশ্ব ক্রিকেটে শিরোনামে এসেছেন গুজরাট টাইটান্স ম্যাচে। ২০০ প্লাস রান তাড়ায় নেমেছিল রাজস্থান রয়্যালস। মরসুমের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়ে দেন। সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে হাফসেঞ্চুরিও করেন। এতেই থামেননি। মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। আর তাতেই একাধিক রেকর্ড। কনিষ্ঠতম হিসেবে আইপিএল সেঞ্চুরি। ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন।
ইডেন গার্ডেন্সে এ মরসুমে ব্যাটিং পিচ দেখা গিয়েছে। বৈভব সূর্যবংশী সেঞ্চুরির পর গত ম্যাচে সিলভার ডাক হয়েছিলেন। তবে ইডেনের পিচে বড় ইনিংস দেখা যেতেই পারে। রবিবার বিকেলে ইডেনে নজর থাকবে সূর্যবংশীর দিকেই। তার আগে এ দিন জমিয়ে অনুশীলন সারছেন। ওয়ার্ম আপ, কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আলোচনা, ব্যাট হাতে নেটেও দেখা গেল। ম্যাচে তাঁর ঝলক দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট প্রেমীরা।