
প্লে-অফ নিশ্চিত হয়নি কোনও টিমেরই। অন্তত সরকারি ভাবে তো নয়ই। কিন্তু সরকারি ভাবে ছিটকে গিয়েছে দুটি দল। চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালস। এই তালিকায় আজ যুক্ত হতে পারে আরও একটা নাম। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। গত বারের রানার্স তারা। এ বার ঝুলিতে ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট। এখান থেকে সব ম্যাচ জিতলে তারা ১৪ পয়েন্ট অবধি পৌঁছতে পারে। তাই একটা করে জয়, সাময়িক ভাবে টিকিয়ে রাখবে টুর্নামেন্টে। কিন্তু হারলে আর কোনও অঙ্ক নেই। ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে আজ সাময়িক টিকে থাকার লড়াই। বলা যায়, হায়দরাবাদ আজ এলিমিনেশন রাউন্ডের ম্যাচে নামছে। হারলে বিদায়।
দিল্লি ক্যাপিটালসের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। টানা চার ম্যাচ জিতেছিল তারা। কিন্তু আসল হোম গ্রাউন্ডে তাদের অস্বস্তি বেড়েছে। চারটির মধ্যে মাত্র একটি জয়। সব মিলিয়ে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট রয়েছে তাদের। একটা হারলেও ছিটকে যাবে তা নয়। কিন্তু চাপ বাড়বে। আর জিতলে প্লে-অফের দিকে কিছুটা এগিয়ে যাওয়া। দিল্লি ক্যাপিটালসের সমস্যা ঠিক কোথায়, এটাই বুঝে পাওয়া কঠিন। কোনও দিন অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স। আবার জয়ের খুব কাছ থেকেও ফিরতে হয়েছে। ফলে এই ম্যাচে পরিস্থিতির নিরিখে দু-দলই যেন সমান জায়গায় দাঁড়িয়ে। এলিমিনেশন নাকি টিকে থাকা? হায়দরাবাদে নজর সেদিকেই।
হায়দরাবাদে সাধারণত ব্যাটিং পিচ দেখা যায়। এ বার অবশ্য স্লো পিচও দেখা গিয়েছে। তবে দিল্লির বিরুদ্ধে স্লো পিচের ঝুঁকি নিতে চাইবে না সানরাইজার্স, এমনটা বলাই যায়। কারণ, দিল্লি ক্য়াপিটালস টিমে কুলদীপ যাদব, বিপরাজ নিগম এবং অক্ষর প্যাটেলের মতো স্পিনার রয়েছেন। কী হতে পারে কম্বিনেশন? মিডল অর্ডারে সানরাইজার্সের এমন একজন চাই, যিনি ইনিংস অ্যাঙ্কর করতে পারবেন। তারই খোঁজ। তেমনই বোলিংয়ে সামির ফিটনেস এবং পারফরম্যান্স নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সম্ভাব্য দ্বাদশ: অভিষেক শর্মা, ট্রাভিস হেড, ঈশান কিষাণ, হেনরিখ ক্লাসেন, অনিকেত ভার্মা, কামিন্দু মেন্ডিস, নীতীশ কুমার রেড্ডি, প্যাট কামিন্স, হর্ষল প্যাটেল, জয়দেব উনাদকাট, মহম্মদ সামি, জিশান আনসারি
দিল্লি ক্যাপিটালসের সম্ভাব্য দ্বাদশ: ফাফ ডুপ্লেসি, অভিষেক পোড়েল, করুণ নায়ার, লোকেশ রাহুল, অক্ষর প্যাটেল, ত্রিস্তান স্টাবস, বিপরাজ নিগম, মিচেল স্টার্ক, দুষ্মন্ত চামিরা, কুলদীপ যাদব, মুকেশ কুমার/নটরাজন, আশুতোষ শর্মা