
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্লে-অফের চারটি দল নিশ্চিত। কিন্তু শীর্ষ দুই নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। গুজরাট টাইটান্স টানা দুটো ম্যাচ হেরে চাপে পড়ল। ঘরের মাঠে বিশাল ব্যবধানে হার। জয় দিয়ে মরসুম শেষ করল চেন্নাই সুপার কিংস। গত দুই ম্যাচেই গুজরাটের প্রতিপক্ষ ২০০ প্লাস রান করেছে। প্রশ্ন উঠেছে গুজরাট টাইটান্সের বোলিং নিয়ে। সব সময়ই ব্যাটিংই ম্যাচ জেতাবে এটা হয় না। এই ম্যাচেও সেটাই হল। বোর্ডে ২৩০ রানের বিশাল স্কোর করে চেন্নাই সুপার কিংস। ৮৩ রানের বিশাল জয়ে মরসুম শেষ মাহির। কিন্তু আইপিএলেও তাঁর শেষ কি না, এই নিয়ে ধোঁয়াশা।
টপ টু-র লড়াই দুর্দান্ত হয়ে উঠেছে। গুজরাট জিতলে তাদের শীর্ষস্থান পাকা ছিল। যদিও চেন্নাইয়ের কাছে হারে রাস্তা কঠিন হল। এখন আরসিবি এবং পঞ্জাব দু-দলই যদি নিজেদের ম্যাচে জেতে, তারাই শীর্ষ দুইয়ে জায়গা করে নেবে। মুম্বইয়ের কাছেও সুযোগ রয়েছে টপ টু-তে থাকার। এর জন্য পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জিততে হবে তাদের। আপাতত টপ টু-তে থাকা গুজরাটের হাতে নেই।
আমেদাবাদে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই সুপার কিংস ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর টিমের এ দিন যেন সহজ অঙ্ক ছিল। মরসুমের শেষ ম্যাচ, উপভোগ করো। প্রতিটা প্লেয়ারই যেন তাই করলেন। আয়ুষ মাহত্রে ১৭ বলে ৩৪, ডেভন কনওয়ে ৩৫ বলে ৫২, উর্ভিল প্যাটেল ১৯ বলে ৩৭। তবে শেষ দিকে জমিয়ে দিলেন বেবি এবি। ২৩ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩০ রান করে চেন্নাই সুপার কিংস।
ব্যাটিং বিভাগ যতই স্ট্রং হোক, বোর্ডে ২৩১ রানের টার্গেট তাড়া করা সহজ নয়। মাহির নেতৃত্বে চেন্নাই বোলিং বিভাগও দুর্দান্ত পারফর্ম করল। রবীন্দ্র জাডেজা ২টি উইকেট নেন। ৩টি করে উইকেট নেন অংশুল কম্বোজ ও নুর আহমেদ। ১৮.৩ ওভারেই ১৪৭ রানে অলআউট গুজরাট টাইটান্স। ৮৩ রানের বিশাল হারে নেট রান রেটেও পিছিয়ে পড়ল টাইটান্স।